Nabanna

কেন্দ্রের হাতে আইনের ‘হাতিয়ার’, আইপিএস বদলি নিয়ে জবাব পেল না নবান্ন

আইনের ‘হাতিয়ার’ কেন্দ্রের হাতে থাকায়, সমান্তরাল ভাবে বাড়ছে আশঙ্কাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:০৮
Share:

—ফাইল চিত্র।

কেন্দ্রের পাঠানো দু’টি চিঠিরই জবাব দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সে সব নিয়ে রবিবার পর্যন্ত কেন্দ্রের মনোভাব জানতে পারেনি রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ এবং প্রশাসনিক মহলে কেন্দ্রের ‘অবস্থান’ নিয়ে জল্পনা ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। আইপিএস (ক্যাডার) আইনের ‘হাতিয়ার’ কেন্দ্রের হাতে থাকায়, সমান্তরাল ভাবে বাড়ছে আশঙ্কাও।

Advertisement

রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে বৈঠকে ডেকে প্রথম চিঠিটি পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তদন্তের অগ্রগতির তথ্য এবং রাজ্য প্রশাসনের ইতিবাচক ভূমিকার কথা তুলে ধরে সেই বৈঠক থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন প্রশাসনিক শীর্ষকর্তারা। কিন্তু প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার কর্মসূচির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা তিন আইপিএস অফিসারকে ডেপুটেশনে চেয়ে ফের চিঠি পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। অফিসারদের ‘নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ’ হিসেবে নিজেদের আপত্তির কথা মন্ত্রককে জানিয়ে দেয় নবান্ন। কিন্তু প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, রাজ্যের জবাব কেন্দ্রকে আদৌ সন্তুষ্ট করল কি না, রবিবার পর্যন্ত তা অস্পষ্টই থেকে গিয়েছে।

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তাদের অনেকেই রবিবার দাবি করেছেন, নির্দিষ্ট ভাবে ডেপুটেশনে ডেকে পাঠানো তিনজন আইপিএস অফিসারকে কেন্দ্রের কাছে ‘রিপোর্ট’ করতেই হবে। রাজ্য কোনও ভাবেই তা ঠেকাতে পারবে না। বরং ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ‘এনওসি’ দিতে হবে রাজ্যকে। মন্ত্রক-কর্তাদের বক্তব্য, আইপিএস (ক্যাডার) আইনের ৬ (১) ধারায় বলা হয়েছে, সর্বভারতীয় ক্যাডারের অফিসারদের নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে মতানৈক্য থাকলে কেন্দ্রের ইচ্ছা বা সিদ্ধান্তই মানতে হবে। এই তত্ত্বে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, বিষয়টির শেষ দেখতে চাইছে মন্ত্রক।

Advertisement

আরও পড়ুন: আরএসএস দফতরে ফাইল হাতে প্রাক্তন ডিজি, সাক্ষাৎ ভাগবতের সঙ্গে​

অন্য দিকে কেন্দ্রের পদক্ষপ নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব অর্ধেন্দু সেন বলেন, “কেন্দ্র এমন আচরণ করছে, যেন রাজ্য তার অধীনস্থ আধিকারিক। তারা (কেন্দ্র) অফিসার ছাড়তে যেমন নির্দেশ দিতে পারে না, তেমনই সাসপেন্ড করার নির্দেশও দিতে পারে না। রাজ্যই তার সিদ্ধান্ত নেবে। ঠিক যেমন, রাজ্য সরকার কেন্দ্রের অর্থসচিবকে ডেকে বৃদ্ধির হার কমার কারণের ব্যাখ্যা দিতে বলতে পারে না।”

আরও পড়ুন: রাজ্যে ক্ষমতায় এলে ৭৫ লক্ষ চাকরি, প্রতিশ্রুতি বিজেপির, ‘ভাঁওতাবলছে তৃণমূল-বাম-কং​

রাজ্যের প্রবীণ এবং প্রাক্তন অফিসারদের অনেকেই জানাচ্ছেন, এত দিন ডেপুটেশনের প্রশ্নে এই আইন প্রয়োগের দৃষ্টান্ত নেই। বরং সৌজন্য দেখিয়ে রাজ্যের সম্মতিকেই বরাবর গুরুত্ব দিয়ে এসেছে কেন্দ্র। তাই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এই সৌজন্য এবং রীতি বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement