Swachh Bharat Mission

স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের কাজে ঝাঁপ নবান্নের

কেন্দ্রের তথ্য, লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বঙ্গে ওই প্রকল্পে বাস্তবায়িত হয়েছে মাত্র ০.৫%। ফলে বাকি রাজ্যগুলির ক্রমতালিকায় পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান নীচের দিকে।

Advertisement

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২২ ০৬:৩০
Share:

স্বচ্ছ ভারত মিশনের অগ্রগতিতে পিছিয়ে রাজ্য। প্রতীকী ছবি।

একশো দিনের কাজ প্রকল্পে জট কাটেনি। তার মধ্যেই কেন্দের তরফে পশ্চিমবঙ্গে স্বচ্ছ ভারত মিশনের (গ্রামীণ) কাজ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল কেন্দ্র। সেই বার্তা পেয়ে ওই মিশনের কাজে তৎপর হওয়ার জন্য সব জেলাকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ওই প্রকল্পে বঙ্গের অগ্রগতি কার্যত তলানিতে।

Advertisement

কেন্দ্রের তথ্য, লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বঙ্গে ওই প্রকল্পে বাস্তবায়িত হয়েছে মাত্র ০.৫%। ফলে বাকি রাজ্যগুলির ক্রমতালিকায় পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান নীচের দিকে। পঞ্চায়েত দফতরের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী ওডিএফ-প্লাস অ্যাসপায়ারিং-এর তালিকাভুক্ত রাজ্যের ১৪,৪০০ গ্রামের মধ্যে কাজ হয়েছে ৫৯১টিতে। ৮৩২০টি ওডিএফ-প্লাস রাইজ়িং গ্রামের মধ্যে ১০টিতে কাজ শেষ হয়েছে। ৮৩২০টির মধ্যে মডেল গ্রামের তকমা পেয়েছে মাত্র ১৯টি। বাড়িতে শৌচালয় তৈরির লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ছ’লক্ষ হলেও কাজ হয়েছে ১,৯১,২১০টির। ১২০টি প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিটের একটিও সম্পূর্ণ হয়নি। এক কর্তা বলেন, “বিপুল অর্থ অব্যবহৃত থাকায় উদ্বেগ বাড়ছে।”

প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রায় এক বছর ধরে একশো দিনের কাজ প্রকল্পের টাকা বন্ধ রয়েছে। সেটা পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের উপরে আর্থিক এবং পরিস্থিতিগত চাপ বাড়িয়েছে। স্বচ্ছ ভারতের মতো গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ প্রকল্পের অগ্রগতি আশানুরূপ না-হলে নতুন সমস্যা তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। তাই কেন্দ্রের ‘সতর্কবার্তা’ এড়ানো সম্ভব নয়।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, কিছু দিন আগেই রাজ্যে এসে এক বৈঠকে মিশনের অগ্রগতির প্রকৃত ছবি তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি এবং পানীয় জল ও স্বচ্ছতা দফতরের সচিব বিনি মহাজন। তার পরেই আসরে নামেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।

স্বচ্ছ ভারত মিশনে ২০১৯ সালের ২ অক্টোবরের মধ্যে গোটা দেশে প্রকাশ্যে মলত্যাগ-মুক্ত (ওডিএফ) গ্রামীণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে ঘরে ঘরে শৌচালয় তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কঠিন এবং তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিকাঠামো গড়ার সিদ্ধান্তও নেয় কেন্দ্র। সেই মিশনেরই দ্বিতীয় পর্যায় (ওডিএফ-প্লাস) শুরু হয়েছে দেশে। এতে চিহ্নিত কিছু গ্রামে কঠিন অথবা তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন (ওডিএফ-প্লাস অ্যাসপায়ারিং), কিছু গ্রামে দুই ব্যবস্থাপনাই দরকার (ওডিএফ-প্লাস রাইজ়িং) এবং কিছু গ্রামে এই দু’টি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে অন্তত ৮০% স্বচ্ছতার ছাপ রাখতে হবে। শেষের মানদণ্ডে পৌঁছলে সেই গ্রামকে ‘মডেল’ ঘোষণা করে কেন্দ্র।

নবান্ন সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব নির্দেশ দিয়েছেন, এমন পরিকাঠামোর জন্য দ্রুত জমি চিহ্নিত করতে হবে। দরপত্র ডাকতে হবে সঙ্গে সঙ্গে। নির্মাণের কাজও শুরু করতে হবে দ্রুত। ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই সব শেষ করে মূল কাজ শুরু করতেই হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement