ফাইল চিত্র
করোনা মোকাবিলায় জেলায় জেলায় স্থানীয় স্তরে কন্টেনমেন্ট বা মাইক্রো-কন্টেনমেন্ট এলাকা চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছিল নবান্ন। কিন্তু বেশির ভাগ জায়গাতেই নিয়ন্ত্রণ বিধি যে কঠোর ভাবে মানা হচ্ছে না, তা বুঝছে জেলা প্রশাসনগুলিও। এই অবস্থায় কন্টেনমেন্ট এলাকায় আরও কড়াকড়ির নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। যে-সব জেলায় কোভিড সংক্রমণের হার বেশি, শুক্রবার সেই সব জেলার কর্তাদের সঙ্গে ভিডিয়ো-বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সংশ্লিষ্ট কর্তাদের বক্তব্য, মুখ্যসচিব বুঝিয়ে দিয়েছেন, পুলিশ-প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে যেখানে যেমন প্রয়োজন, কড়া ভাবে নিয়ন্ত্রণ বিধি বলবৎ করতেই হবে। এখন সংক্রমণের হার ৩.৬১%। আগামী ১০ দিনে সেটাকে ১-২ শতাংশে নামানোর লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।
টিকাকরণকে আরও ত্বরান্বিত করতেও পরামর্শ-নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। জানানো হয়েছে, শহর-শহরতলিতে বস্তি এলাকায় টিকা প্রদান কর্মসূচি বাড়াতে হবে। সুপার স্প্রেডার শ্রেণিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা প্রদান চলবে। পরিবহণ কর্মী, হকার, ছোট দোকানদার, আনাজ বিক্রেতাদের টিকাকরণ আগামী সাত দিনের মধ্যে সম্পন্ন করার চেষ্টা করতে হবে। ১২ বছর শিশুদের মায়েদেরও অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখতে হবে। দ্বিতীয় ডোজ়ের ক্ষেত্রে যাতে সমস্যা না হয়, সে দিকেও জোর দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যে দৈনিক তিন লক্ষ করে উপভোক্তা প্রতিষেধক পেয়েছেন। এ দিন রাত ৯টা পর্যন্ত সেই সংখ্যা ছিল ৩ লক্ষ ৭৯ হাজার ৩৯২ জন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনা প্রতিষেধক নেওয়া উপভোক্তার সংখ্যা ২ কোটি ৭ লক্ষ ৩১ হাজার ৮০৪ জন।