—ফাইল চিত্র।
আধার সমস্যার সমাধানে একটি নতুন হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করল নবান্ন। বাংলার কোনও মানুষের কাছে আধার নিষ্ক্রিয় হওয়ার চিঠি যদি আসে, তবে এই নম্বরে সে কথা জানালেই সমস্যার সমাধান হবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বহু মানুষের কাছে আধার নিষ্ক্রিয় হওয়ার চিঠি পৌঁছনোর পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এই সমস্যার সমাধানে একটি নতুন পোর্টাল শুরু করবে তাঁর সরকার। মমতা এও বলেছিলেন, ‘‘যাঁদের আধার বাতিল হয়েছে তাঁদের আলাদা কার্ড দেবে রাজ্য। ব্যাঙ্ক বা অন্য কাজে কারও সমস্যা হবে না।’’
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এর পরে মঙ্গলবার বিকেলে নবান্নের তরফে ওই পোর্টাল চালু করা হয়। পাশাপাশি একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। ঘোষণা করা হয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে এই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর কাজ করা শুরু করবে।
নবান্নের দেওয়া হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি হল ৯০৮৮৮৮৫৫৪৪। অন্য দিকে, পোর্টালের ঠিকানাটি হল ‘https://রাজ্যেরআধারসমস্যার.com’ । যদিও পোর্টালটি এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার সময় পর্যন্ত চালু হয়নি।
উল্লেখ্য, আধার কার্ড বাতিল হওয়া নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কিছু মানুষের কাছে চিঠি পৌঁছেছে সম্প্রতি। দিন কয়েক আগে এ নিয়ে উদ্বেগ জানান মুখ্যমন্ত্রী। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারির পাশাপাশি কার্ড বাতিলের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্নও তোলেন মমতা। সরাসরি চিঠি দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। চিঠিতে মমতা অভিযোগ করেন, আধার নিয়ামক সংস্থা বিধি না মেনেই আধার কার্ড বাতিল করছে। যাঁদের মধ্যে তফসিলি জাতি, জনজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত মানুষ রয়েছেন। একই সঙ্গে মমতা ওই চিঠিতে জানতে চান, এই আধার বাতিলের সিদ্ধান্ত কি মানুষের মধ্যে ‘বিভ্রান্তি’ ছড়ানো বা তাঁদের নানা পরিষেবা থেকে ‘বঞ্চিত’ করার জন্য?
মমতার ওই চিঠির পরই সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে আধার সমস্যার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তিনি বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্য এই সমস্যা হয়েছে। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে অমিত শাহ আমাকে এই সমস্যা মেটানোর দায়িত্ব দিয়েছেন।’’ তবে সোমবার শান্তনুর ওই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নবান্নের তরফে আলাদা করে আধার সমস্যা মেটানোর জন্য ওই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করা হয়।