দাঁতের চিকিৎসা করাতে গিয়ে মৃত্যু হল হায়দরাবাদের যুবকের। ছবি: সংগৃহীত।
সুন্দর দাঁত আর ঝকঝকে হাসি নিয়ে বিয়ের আসরে চমকে দেবেন হবু স্ত্রীকে। ভেবেছিলেন, ২৮ বছরের যুবক। দাঁতের চিকিৎসকের উপর ভরসা করে বাড়ির কাউকে না জানিয়ে তাই একাই চলে গিয়েছিলেন অস্ত্রোপচারের জন্য। কিন্তু অস্ত্রোপচার চলাকালীনই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন তিনি। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, মৃত্যুর কারণ অতিরিক্ত অ্যানস্থেসিয়ার ডোজ়।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারির ঘটনা। হায়দরাবাদের জুবিলি হিলসের এফএমএস ইন্টারন্যাশনার ডেন্টাল ক্লিনিকে স্মাইল ডিজ়াইনিং অস্ত্রোপচারের জন্য নিজেই ভর্তি হন ২৮ বছরের যুবক হায়দরাবাদবাসী লক্ষ্মীনারায়ণ ভিনজাম। দিন দশেক পরেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তাঁর। হঠাৎই তিনি সিদ্ধান্ত নেন স্মাইল এনহান্সিং ট্রিটমেন্ট করানোর।
অর্থাৎ সুন্দর হাসি পাওয়ার চিকিৎসা। সাধারণ এই চিকিৎসায় অসমান এবং উঁচু নিচু দাঁতকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সমান ভাবে সাজিয়ে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে আধুনিক প্রক্রিয়ায় দাঁতের রং এবং উজ্জ্বলতাও ঠিক করে দেওয়া হয়। বিয়ের আগে ভিনজাম সেই চিকিৎসাই করাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু অস্ত্রোপচারের সময়েই সংজ্ঞা হারান তিনি। তাঁকে ডেকে সাড়া না পাওয়ায় দাঁতের ক্লিনিক থেকে ফোন করা হয় ভিনজামের বাড়িতে।
লক্ষ্মীনারায়ণের বাবা রামুলু ভিনজাম জানিয়েছেন, তিনি যে এই চিকিৎসা করাতে যাচ্ছেন, তা বাড়ির কেউই জানতেন না। তাঁরা বিষয়টি জানতে পারেন ওই দাঁতের চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে ফোন আসার পর। তাঁদের বলা হয় লক্ষ্মীনারায়ণ অচেতন হয়ে পড়েছেন।
রামুলু জানিয়েছেন, তিনি ছেলেকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান । কিন্তু চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে লক্ষ্মীনারায়ণের। পরিবারের অভিযোগ, অচেতন করার ওষুধ বেশি প্রয়োগ করার কারণেই মৃত্যু হয়েছে ছেলের। কারণ, লক্ষ্মীনারায়ণের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আর কোনও সমস্যা ছিল না।