গত বছরের কিছু রাস্তার কাজ কেন অসম্পূর্ণ, তার ব্যাখ্যা চেয়েছে কেন্দ্র। প্রতীকী ছবি।
একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনার পরে এ বার প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক প্রকল্পেও কেন্দ্রীয় বরাদ্দ আটকে যাওয়া নিয়ে নতুন করে আশঙ্কা দানা বাঁধছে রাজ্যের প্রশাসনিক মহলের অন্দরে। কারণ, ওই প্রকল্পের বিষয়ে নতুন করে কেন্দ্রের রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো। যদিও পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের বক্তব্য, “রিপোর্ট চেয়েছে বলেই টাকা আটকে যাবে, এ কথা ধরে নেওয়া যায় না।’’ একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘‘আমরা খুব শীঘ্রই টেন্ডার ডেকে কাজ চালু করে দেব।’’
১৭ নভেম্বর কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক রাজ্যকে লিখিত ভাবে জানিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় এ বছরে পশ্চিমবঙ্গে মোট প্রায় ৫৮৫ কোটি টাকায় ১৪৪টি প্রকল্পের কাজ হবে। এর মধ্যে কেন্দ্র দেবে প্রায় ৩৪৩ কোটি এবং রাজ্যের ভাগে থাকবে বাকি ২৪২ কোটি টাকা। পঞ্চায়েত দফতর সূত্রের বক্তব্য, এই অবস্থায় গত বছরের কিছু রাস্তার কাজ কেন অসম্পূর্ণ, তার ব্যাখ্যা চেয়েছে কেন্দ্র। রাজ্যের অবশ্য দাবি, এই তথ্য কেন্দ্রকে আগেই দেওয়া হয়েছিল। ফের ওই সমস্ত তথ্য কেন্দ্রকে রিপোর্ট আকারে দেওয়া হবে। পঞ্চায়েতমন্ত্রী বলেন, “এক সরকারের সঙ্গে আর এক সরকারের তথ্যের আদানপ্রদান চলতেই পারে। এখন সব প্রকল্পেই ছবি এবং জিও-ট্যাগ করা থাকে। ফলে জেলাগুলির কাছ থেকে চেয়ে সেই রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠানো হবে।”
অন্য দিকে, গত বছর রাজ্যে ঘুরে যাওয়া কেন্দ্রীয় দলের রিপোর্ট পাঠিয়ে পশ্চিমবঙ্গের কাছ থেকে একশো দিনের কাজ, আবাস এবং সড়ক যোজনার তথ্য কয়েক দিন আগেই চেয়েছিল মোদী সরকার। সেই তথ্যও কেন্দ্রকে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য। প্রদীপের কথায়, “আগেও কেন্দ্রকে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল। এ বারেও জেলাগুলির থেকে সবিস্তার তথ্য পেলেই কেন্দ্রকে তা রিপোর্ট আকারে পাঠানো হবে।”
এর মধ্যে কেন্দ্র চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, ফের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে কেন্দ্রীয় দল আসছে রাজ্যে। চালু গ্রামীণ প্রকল্পগুলির কাজকর্ম খতিয়ে দেখে ২০ জানুয়ারির মধ্যে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দেবে তারা। আগে ঠিক ছিল, কালিম্পং, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দুই মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া এবং পূর্ব বর্ধমানে যাবে কেন্দ্রীয় দলগুলি। এখন বলা হয়েছে, এগুলির সঙ্গে তারা যাবে উত্তর ২৪ পরগনা, বীরভূম, হুগলি এবং পুরুলিয়াতেও। কেন্দ্রীয় দলের সমীক্ষার আওতা থেকে বাদ গিয়েছে কালিম্পং এবং দার্জিলিং। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও উত্তররাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, তামিলনাড়ু, সিকিম, রাজস্থান, পঞ্জাব, ওড়িশা, মিজোরাম, মণিপুর, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, কেরল ও কর্নাটকে।