bsf jawan

BSF: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে জলাশয় থেকে বিএসএফ জওয়ানের দেহ উদ্ধার

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বিবেক তিওয়ারি (২৯)। তিনি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। কর্মরত ছিলেন বিএসএফের ১৫৯ নম্বর ব্যাটেলিয়নে।

Advertisement

অভিজিৎ সাহা 

বামনগোলা শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২২ ০৬:৫৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

মালদহের বাংলাদেশ সীমান্তে এ বারে মৃত্যু হল এক বিএসএফ জওয়ানের। সোমবার সকালে বামনগোলা থানার খুটাদহ সীমান্তের জলাশয় থেকে ওই জওয়ানের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এই দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। বিএসএফের দাবি, জওয়ানকে পাচারকারীরা জলে ডুবিয়ে খুন করেছে। যদিও বিএসএফ এখনও থানায় কোনও অভিযোগ করেনি বলে দাবি পুলিশের।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বিবেক তিওয়ারি (২৯)। তিনি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। কর্মরত ছিলেন বিএসএফের ১৫৯ নম্বর ব্যাটেলিয়নে। ২০১৭ সালে বিএসএফে যোগ দেন। এ দিন সকাল ৬টা নাগাদ বামনগোলার খুটাদহ সীমান্তে হাঁড়িয়া জলাশয়ে তাঁকে পড়ে থাকতে দেখেন বিএসএফের সঙ্গী জওয়ানেরা। তাঁকে উদ্ধার করে নিজেদের ক্যাম্পে নিয়ে যান তাঁরা। ক্যাম্পের মেডিক্যাল টিম তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

অভিযোগ, শীত পড়তেই ঘন কুয়াশার সুযোগ নিয়ে সীমান্তে সক্রিয় হয়ে উঠেছে চোরাকারবারিরা। বিএসএফের দাবি, ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত চার বার সীমান্তে গুলি চালিয়েছে তারা। এতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে এবং দু’জন জখম হয়েছে। নিহত এবং আহতেরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের বাসিন্দা ছিল বলে দাবি বিএসএফের। যদিও কোচবিহারে স্থানীয় এক ভারতীয়ও বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারান বলে অভিযোগ। বিএসএফের দাবি, প্রত্যেকেই পাচারের সঙ্গে যুক্ত।

Advertisement

মালদহ মেডিক্যালে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএসএফ জওয়ান বলেন, “খুটাদহ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই। সীমান্তে জলাশয় রয়েছে। এ দিন রাতে টহলদারির দায়িত্বে ছিলেন বিবেক তিওয়ারি। তাঁকে বাংলাদেশের পাচারকারীরা টেনে নিয়ে গিয়ে জলে ডুবিয়ে খুন করেছে।” যদিও ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় অভিযোগ করেনি বিএসএফ। মালদহের পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, “ময়না-তদন্তের পাশাপাশি ভিসেরা পরীক্ষাও করা হবে। নমুনা সংগ্রহ করে কলকাতায় পাঠানো হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement