TMC

শুভেন্দুর ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট, বেসুরো মুর্শিদাবাদের তৃণমূল নেতা বৈদ্যনাথ দাস

দলের একাংশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতির দাবি, তাঁকে কোনও কিছুতেই ডাকে না দল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২১:৫৩
Share:

বৈদ্যনাথ দাস। —নিজস্ব চিত্র

এ বার বেসুরো মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সহ সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা বৈদ্যনাথ দাস। শুভেন্দু অধিকারীর প্রোফাইলে তাঁর বক্তব্যের ভিডিয়োতে কমেন্ট করায় এমন জল্পনা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি দলের একাংশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বৈদ্যনাথ। পরে অবশ্য বলেছেন, আবেগপ্রবণ হয়েই তিনি ওই পোস্ট করেছেন। প্রয়োজনে ক্ষমা চেয়ে নেবেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

Advertisement

তৃণমূলে থাকাকালীন দীর্ঘ দিন মুর্শিদাবাদ জেলার পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তখন থেকেই বৈদ্যনাথের সঙ্গে বৈদ্যনাথ শুভেন্দুর অনুগামী বলেই পরিচিত। কিন্তু শুভেন্দু বিজেপি-তে যোগদান করেছেন। রবিবার ডুমুরজলায় বিজেপির যোগদান সভায় নিজের বক্তব্যের ভিডিয়ো ফেসবুকে পোস্ট করেছেন শুভেন্দু। সোমবার সেই ভিডিয়োতেই বৈদ্যনাথের কমেন্ট, ‘ভারতমাতা জিন্দাবাদ’, ‘শুভেন্দু অধিকারী জিন্দাবাদ’। আর এই কমেন্টের পরেই রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনা শুরু হয়, তবে কি তিনিও বিজেপিতে যোগদানের পথে চলেছেন?

সোমবার এই বিষয়ে বৈদ্যনাথ বলেন, ‘‘ব্যাক্তিগত ভাবে ওঁর (শুভেন্দু অধিকারী)। উনি দীর্ঘদিন যে হেতু আমাদের জেলার তৃণমূলের পর্যবেক্ষক ছিলেন, তাঁই ওঁর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে। আবেগপ্রবণ হয়েই ওই কমেন্ট করেছি। এতে যদি অন্যায় হয়, তা হলে দলের কাছে প্রয়োজনে ক্ষমা চেয়ে নেব।’’ একই সঙ্গে অবশ্য দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভও চেপে রাখেননি বৈদ্যনাথ। তাঁর কথায়, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে জেলার কোনও কর্মসূচিতে আমাকে ডাকা হয় না। সম্প্রতি আমাদের জেলা নেতৃত্বকে কলকাতায় ডাকা হয়েছিল। আমিও গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়নি, আমার কাছে কিছু জানতেও চাওয়া হয়নি। তাই আমি মনে করছি, দলের থেকে দূরে সরে গিয়েছি, বা দল আমাকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।’’ বিজেপিতে যোগদানের প্রশ্নে বৈদ্যনাথের জবাব, এখনও কিছু ভাবেননি।

Advertisement

মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য বিষয়টি জানেন না বলে এড়িয়ে গিয়েছেন। জেলায় দলের মুখপাত্র অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় কারা কী কমেন্ট করছেন জানি না। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement