Panchayat Election 2023

আইএসএফ কর্মীকে খুন: আরাবুল-সহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল ভাঙড়ের কাশীপুর থানা

পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বে ভাঙড়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। শাসকদল তৃণমূল এবং আইএসএফের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল মহম্মদ মহিউদ্দিন মোল্লার। তাঁর বাবা খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ভাঙড় শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৩ ১২:২৩
Share:

তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম, ভাঙড়ে আইএসএফ কর্মী খুনের অভিযোগপত্রে যাঁর নাম আছে। ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ।

তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম এবং তাঁর পুত্র হাকিমুলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হল ভাঙড়ের কাশীপুর থানায়। এই দু’জন-সহ মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

Advertisement

পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বে অশান্তির জেরে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে ভাঙড়। তৃণমূল এবং আইএসএফের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন মহম্মদ মহিউদ্দিন মোল্লা। আইএসএফ নেতৃত্বের দাবি, মহিউদ্দিন তাঁদের কর্মী। গুলিবিদ্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয় গত ১৫ জুন। মহিউদ্দিনের বাবা কুতুবুদ্দিন মোল্লা রবিবার রাতে কাশীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে খুন, খুনের চেষ্টার মতো একাধিক জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অস্ত্র আইনেও মামলা হয়েছে।

ভাঙড়ে অশান্তির ঘটনায় এই নিয়ে মোট সাতটি মামলা রুজু করা হল। এর আগে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পুলিশ তিনটি মামলা রুজু করেছিল। তৃণমূলের তরফে মামলা হয় দু’টি। এ ছাড়া, সংবাদমাধ্যমের অভিযোগের ভিত্তিতে আরও একটি মামলা রুজু করা হয়েছিল। তার পর আইএসএফ কর্মীর খুনের অভিযোগে সপ্তম মামলাটি রুজু হল।

Advertisement

আইএসএফ কর্মীর বাবার অভিযোগের তালিকায় আরাবুল, তাঁর পুত্র হাকিমুল ছাড়াও আছে তৃণমূল নেতা শরিফুলের নাম।

আরাবুল এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমি বা আমার ছেলে এই ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নই। আমরা বিডিও অফিসের সামনে ছিলাম। আমার মনে হয়, আইএসএফের লোকেরা গুলি চালাচ্ছিল। সেই গুলিই মহিউদ্দিনের গায়ে লেগেছে। আমাদেরও দু’জন মারা গিয়েছেন।’’

পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে শাসকদল তৃণমূল এবং আইএসএফ দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে। মনোনয়নের সময় প্রায় প্রতি দিনই যথেচ্ছ বোমা এবং গুলি চলেছে এলাকায়। উদ্ধারও হয়েছে অনেক বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র। আইএসএফ নেতৃত্বের দাবি, তাঁদের কর্মী মহিউদ্দিন সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন। ওই দিন আরও এক জনের মৃত্যু হয়। তৃণমূলের তরফে পাল্টা অভিযোগ, সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত রশিদ মোল্লা তাঁদের দলের কর্মী। এ ছাড়া, দুই পক্ষ এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ভাঙড়ে বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement