খাতায় কলমে রাজ্য বিধানসভায় বিজেপি-র ৭৫ বিধায়ক থাকলেও আসলে গেরুয়া শিবিরে রয়েছেন ৭০ জন। মুকুল রায়-সহ পাঁচ জন ইতিমধ্যেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। চলে যেতে পারেন এমন বিধায়কের তালিকাও নাকি রয়েছে। পুরভোটে জয়ীরাও তেমনটা করবেন না তো! চিন্তা গেরুয়া শিবিরে।
নতুন চিন্তায় বিজেপি নেতৃত্ব। ফাইল চিত্র
অনেক কষ্টে জয় এসেছে ৬৩ টি ওয়ার্ডে। রাজ্যের মোট ওয়ার্ডের তুলনায় সংখ্যাটা খুবই নগণ্য। তবে জয় পাওয়া আসনের হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি। গণনা শেষে দেখা যাচ্ছে, ২,২৭৪ ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল জিতেছে ১,৯৭৬ ওয়ার্ডে। বিজেপি জিতেছে ৬৩, বামেরা ৫৬ এবং কংগ্রেস ৫৯ ওয়ার্ডে। অন্য দিকে, মোট ১১৯ ওয়ার্ডে জিতেছেন নির্দল প্রার্থীরা। ফলে নির্দলকে বাদ দিলে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিজেপি-ই দ্বিতীয়। কিন্তু দলের অন্দরে অন্য আতঙ্ক রয়েছে। পাঁচ কাউন্সিলর দলবদল করলেই বিজেপি তৃতীয় স্থানে চলে আসবে। উঠে আসবে কংগ্রেস। তাই পুরভোটে পরাজয়ের পরে এখন নতুন লড়াই ৬৩টি জয়ীকে দলে ধরে রাখা।
এর আগের পুরভোটে রাজ্যে শ’খানেক প্রতিনিধি বিভিন্ন পুরসভায় জয় পেলেও অর্ধেক চলে গিয়েছিলেন শাসক শিবিরে। বিধানসভা নির্বাচনের পরেও সেই ধারা দেখা গিয়েছে। খাতায় কলমে রাজ্য বিধানসভায় বিজেপি-র ৭৫ বিধায়ক থাকলেও আসলে গেরুয়া শিবিরে রয়েছেন ৭০ জন। মুকুল রায়-সহ পাঁচ জন ইতিমধ্যেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। চলে যেতে পারেন এমন বিধায়কের তালিকাও না কি রয়েছে। পুরভোটে জয়ীরাও তেমনটা করবেন না তো! চিন্তা গেরুয়া শিবিরে।
এই পরিস্থিতিতে পুরভোটে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ৬৩ জন জয়ীকে আগামী দিনে দলে রাখা যাবে কি না তা নিয়ে চিন্তিত রাজ্য বিজেপি। মুখে স্বীকার না করলেও গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই জেলা নেতৃত্বকে বিজয়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সকলকে যে দলে ধরে রাখতে পারাটা সহজ নয় সেটা কার্যত মেনেও নিয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর বক্তব্য, ‘‘তৃণমূলের চাপ, সন্ত্রাসের ভয় তো রয়েইছে। তার মধ্যেও দল সব সময় জয়ীদের পাশে থাকবে। ইতিমধ্যেই জেলা সভাপতিদের বলা হয়েছে জয়ীরা যাতে আক্রান্ত না হন সে দিকে নজর রাখতে হবে। প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হবে।’’