হামরো প্রধান অজয় শৈলশহরে অবশ্য পরিচিত মুখ। অজয় গ্লেনারিজ রেস্তোরাঁর কর্তা হিসেবে যথেষ্ট পরিচিত। রাজনীতিও করতেন। এক সময় জিএনএলএফ-এর দার্জিলিং শাখার সভাপতি ছিলেন। জানা যায়, মন ঘিসিং–এর সঙ্গে মতপার্থক্য তৈরি হওয়ায় অজয় দল ছেড়ে দেন। তারপরে গত নভেম্বরে নিজের দল ঘোষণা। আর মার্চে পুরসভা দখল।
হামরো পার্টির জয়জয়কার। ফেসবুক
পাহাড়ে নতুন শক্তির জয়জয়কার। মাত্র মাস তিনেক আগে জন্ম নেওয়া হামরো পার্টির জয়জয়কার। মোট ৩২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টিতে জয় পেয়ে পাহাড়ি পুরসভার দখল নিতে চলেছে অজয় এডওয়ার্ডের দল। ৩২টি ওয়ার্ডে লড়াই করে বিজেপি এবং তৃণমূলকে অনেকটা পিছনে ফেলে দিল নতুন এই দল। শুধু তাই নয়, পাহাড়ে তৈরি হল নতুন প্রশ্ন। কিছু দিন আগেই তৃণমূলের হাত ধরা বিমল গুরুং কিংবা নতুন দল বানানো অনীতা থাপাদের অস্তিত্বও কি তবে বিপন্ন হতে চলেছে?
২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর। জন্ম হয় হামরো পার্টির। পাহাড়ের রাজনীতিতে নতুন সংযোজন নিয়ে আসে বিখ্যাত গ্লেনারিজ রেস্তরাঁর কর্তা অজয়। ফল ঘোষণার ঠিক ৯২ দিন আগে মিরিকে জন্ম নেওয়া দল যে এমন সাফল্য দেখাবে, তা হয়তো ভাবতেও পারেনি শৈলশহর।
বুধবার সকালে গণনা শুরুর পর থেকেই খবর আসতে শুরু করে একটির পর একটি ওয়ার্ডে এগিয়ে যাচ্ছে নবাগত হামরো। এই পুরসভায় তৃণমূল প্রার্থী দিয়েছিল ১০টি ওয়ার্ডে। বিজেপি ৯টি এবং সিপিএম ২টি আসনে প্রার্থী দেয়। এর পরে হিসেবে ছিল অন্যান্যদের প্রার্থী সংখ্যা ৩৬। আসলে সেই অন্যান্যদের মধ্যে রাজনৈতিক মহলের কাছে ‘আন্ডারডগ’ হামরো পার্টির ছিল ৩২ জন প্রার্থী। আর তার মধ্যে ১৮ জনের জয় ছিনিয়ে নিয়ে দার্জিলিং পুরসভার দখল নিল হামরো।
হামরো প্রধান অজয় শৈলশহরে অবশ্য পরিচিত মুখ। অজয় গ্লেনারিজ রেস্তোরাঁর কর্তা হিসেবে যথেষ্ট পরিচিত। রাজনীতি করতেন। এক সময় জিএনএলএফ-এর দার্জিলিং শাখার সভাপতিও ছিলেন। জানা যায়, মন ঘিসিং–এর সঙ্গে মতপার্থক্য তৈরি হওয়ায় অজয় দল ছেড়ে দেন। তারপরে গত নভেম্বরে নিজের দল ঘোষণা। আর মার্চে পুরসভা দখল।