Asansol

Asansol Municipal Election: পিন্টু মুখোপাধ্যায় কে? দ্বিমত বিজেপি-তৃণমূল

পিন্টু মুখোপাধ্যায় কোন জন? যাঁর নাম বিজেপির প্রার্থিতালিকায় ছিল, না যিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন— এই চর্চা চলল পুরভোটের আগের আসানসোলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২২ ০৬:০৬
Share:

রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের সঙ্গে পিন্টু (লাল জ্যাকেট)। নিজস্ব চিত্র।

পিন্টু মুখোপাধ্যায় কোন জন? যাঁর নাম বিজেপির প্রার্থিতালিকায় ছিল, না যিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন— সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার দিনভর এই চর্চা চলল পুরভোটের আগের আসানসোলে।

Advertisement

পুরভোটের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল সোমবার। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ‘প্রার্থী’ হিসাবে বিজেপির তালিকায় নাম থাকা পিন্টু মুখোপাধ্যায় মনোনয়ন জমা দেননি। তিনি ওই দিন সন্ধ্যার পরে, রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন। যদিও বিজেপি নেতৃত্বের পাল্টা দাবি, তৃণমূল যাঁকে ‘বিজেপি প্রার্থী’ বলছে, সে পিন্টু তাঁদের পিন্টু নন। বিজেপির অভিযোগ, তাঁদের পিন্টু তৃণমূলের ভয়ে এলাকাছাড়া। অভিযোগ মানেননি তৃণমূল নেতৃত্ব।

৩১ ডিসেম্বর ঘোষিত তালিকায় দেখা যায়, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির প্রার্থী— পিন্টু মুখোপাধ্যায়। সোমবার পিন্টু মুখোপাধ্যায় বা অন্য কেউ ওই ওয়ার্ডে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দেননি। ওই সন্ধ্যায় তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়, স্থানীয় নেত্রী তথা ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর সি কে রেশমার উপস্থিতিতে মন্ত্রী মলয়ের কার্যালয়ে গিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ‘বিজেপি প্রার্থী’ পিন্টু মুখোপাধ্যায়। সে পিন্টুর দাবি, “আমি ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর সি কে রেশমার উন্নয়নমূলক কাজ দেখে, তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।”

Advertisement

যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি দিলীপ দে বলেন, “পিন্টু মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তিকে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু তৃণমূল যে পিন্টুর কথা বলছে, তাঁকে প্রার্থী করিনি। এই ব্যক্তি অন্য কেউ। আমরা চিনি না।”

মানছেন না তৃণমূলে যোগ দেওয়া পিন্টু। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বিজেপি নেতৃত্ব মতামত না নিয়ে আমাকে প্রার্থী করেছিলেন। প্রার্থী হওয়ার পরে, বিজেপির তরফে পাঠানো হোয়াটস অ্যাপ মেসেজে ব্যাপারটা জানতে পারি। এলাকায় পিন্টু মুখোপাধ্যায় নামে আর কোনও বিজেপি কর্মী আছেন বলে জানা নেই।’’ সি কে রেশমাও দাবি করেন, “দায়িত্ব নিয়ে বলছি, বিজেপির প্রার্থীই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কারণ, উনি আমার ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা।”

তা হলে ‘বিজেপির পিন্টু’ কে, থাকেনই বা কোথায়? জবাব না দিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি দিলীপ অভিযোগ করেন, “যাঁকে প্রার্থী করেছিলাম, তাঁকে তৃণমূল এমন ভয় দেখিয়েছে, তিনি এখন ঘরছাড়া। তাঁর খোঁজ করছি।” তাঁর দাবি, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁদের প্রার্থী অরবিন্দ তিওয়ারির খোঁজও সোমবার থেকে মিলছে না। তিনিও মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি।

ভয় দেখানোর অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিধান উপাধ্যায়ের পাল্টা দাবি, ‘‘প্রার্থী খুঁজে না পেয়ে, ভুল বকছেন বিজেপি নেতৃত্ব। ওঁদেরই ঘোষিত প্রার্থী মনোনয়ন জমা না দিয়ে, তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement