—ফাইল চিত্র।
বড়বাজার থানার হিসেব-বহির্ভূত টাকা উদ্ধারের মামলায় প্রাক্তন রেলমন্ত্রী, বর্তমানে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের কণ্ঠস্বরের নমুনা শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মৌমিতা রায়ের এজলাসে রেকর্ড করা হয়েছে। ওই নমুনা রেকর্ড করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
সরকারি কৌঁসুলি তরুণকুমার চট্টোপাধ্যায় জানান, ২০১৮ সালে বড়বাজার থানা এলাকায় কল্যাণ রায়বর্মণ নামে এক রেলকর্মীকে ৮০ লক্ষ টাকা-সহ গ্রেফতার করা হয়। তদন্তে জানা যায়, তিনি ওই টাকা এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে মোবাইলে একাধিক বার কথা হয় কল্যাণের। মুকুলের নাম উঠে আসে সেই কথোপকথনে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুকুলকে ডাকে। তিনি হাজির না-হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানানো হয় আদালতে। তা মঞ্জুর করে আদালত। হাইকোর্টে পরোয়ানা খারিজের আবেদন করেন মুকুল। হাইকোর্ট পরোয়ানা খারিজ করে দেয়।
সরকারি কৌঁসুলি জানান, এর পরে বিচার ভবনে বিশেষ আদালতের বিচারক সুজাতা খাড়্গের কাছে ওই মামলায় মুকুলের কণ্ঠস্বর রেকর্ড করার আর্জি জানানো হয়। বিচারক তা মঞ্জুর করেন। তার জেরে হাইকোর্টের বিচারপতি মান্থার আদালতে মামলা করেন মুকুল। তাঁর কৌঁসুলি শুভাশিস দাশগুপ্ত জানান, বিচারপতি মান্থা নমুনা রেকর্ড করার নির্দেশ দিলেও তা মুখবন্ধ খামে রাখতে বলেন এবং মামলাটি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। কোনও মামলার এক জন সাক্ষীকে কণ্ঠস্বরের নমুনা রেকর্ড করতে বাধ্য করানো যায় কি না, সেই আইনি জটিলতার ফয়সালা হবে ডিভিশন বেঞ্চে।
আরও পড়ুন: নৈহাটিতে বিস্ফোরণ কি চিনা বারুদেই?