১১ জুন মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরে যান। ফাইল চিত্র
মুকুল রায় এখনও বিজেপি-তেই আছেন। তিনি আদৌ তৃণমূলে যোগ দেননি। সূত্রের খবর, শুক্রবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে আইনজীবী মারফত লিখিত ভাবে এমনটাই জানিয়েছেন মুকুল। পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান মুকুলের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার দাবিতে স্পিকারের কাছে অভিযোগ এনেছে বিজেপি। এর আগে এই মামলার একাধিক শুনানি হলেও তাতে যোগ দেননি মুকুল। শুক্রবারও তিনি বিধানসভায় আসেননি। তবে তাঁর আইনজীবী সায়ন্তক দাস একটি লিখিত বিবৃতি জমা দেন। সূত্রের খবর, তাতেই মুকুল রায় দলবদল করেননি বলে দাবি করা হয়েছে। এর জবাবে বিজেপি-র পরিষদীয় দলের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, তাঁরা আইন অনুসারে চিঠি দেবেন স্পিকারকে। আগামী ৩ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে স্পিকারের ঘরে।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন মুকুল রায়। ভোটের পর তিনি ফের তাঁর পুরনো দল তৃণমূলে যোগ দেন। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায় বিজেপি। গত ১১ জুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ছেলে শুভ্রাংশু রায়কে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল। এর পরে ১৭ জুন মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষর কাছে আবেদন করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরই মধ্যে মুকুলকে পিএসি চেয়ারম্যান করা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়।
মুকুলের বিরুদ্ধে যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয় তার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে বিজেপি। সম্প্রতি সর্বোচ্চ আদালত মুকুলের বিধায়ক পদের বৈধতা নিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিদ্ধান্ত নিতে বলে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে। গত ২২ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য জানার পরে টুইট করে প্রতিক্রিয়া জানান শুভেন্দু। লেখেন, ‘ন্যায়ের জয় হল। ভারতের মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক পর্যবেক্ষণ মুকুল রায়ের দলত্যাগের প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার জন্য মাননীয় স্পিকারকেও ছেড়ে দেয়নি। ২০১১ সালের পর প্রথমবার যখন পশ্চিমবঙ্গে দলত্যাগ সংক্রান্ত আবেদনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ প্রসঙ্গত, মুকুল–সহ এখনও পর্যন্ত পাঁচজন বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিজেপি স্পিকারের কাছে তাঁদের পদ খারিজের আবেদন জানিয়েছেন।