North Bengal Medical College

নতুন বছরে এমআরআই পরিষেবা বন্ধ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে, ভোগান্তির শিকার রোগীরা

একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে দীর্ঘ দিন ধরে এমআরআই সেন্টার চলছিল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। গত ৩১ ডিসেম্বর সেই সংস্থার মেয়াদ শেষ হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:৪১
Share:

(বাঁ দিকে) উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে এমআরআই পরিষেবা বন্ধের বিজ্ঞপ্তি। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

নতুন বছরের শুরু থেকেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এমআরআই পরিষেবা ব্যাহত। একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে দীর্ঘ দিন ধরে চলছিল এমআরআই সেন্টারটি। গত ৩১ ডিসেম্বর সেই সংস্থার মেয়াদ শেষ হয়। নতুন করে দরপত্র আহ্বানের পর অন্য একটি সংস্থা এমআরআই সেন্টার চালানোর বরাত পেয়েছে। ৩১ ডিসেম্বরের পর পুরনো সংস্থাটি তাদের পরিষেবা প্রত্যাহার করে সব সরঞ্জাম খুলে নিয়ে যাচ্ছে। নতুন সংস্থা তার পর সেখানে তাদের সরঞ্জাম বসিয়ে পরিষেবা দেওয়ার কাজ শুরু করবে। তবে তত দিন পর্যন্ত এমআরআই পরিষেবা বন্ধই থাকছে।

Advertisement

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, নতুন সংস্থা কাজের বরাত পেয়ে মেডিক্যাল কলেজে এসে এলাকা চিহ্নিত করেছে ইতিমধ্যেই। তবে সেই কাজ সবে শুরু করেছে পূর্ত দফতর। পুরো ব্যাবস্থা চালু হতে এখনও মাস ছয়েক। দীর্ঘ দিন পরিষেবা বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগী এবং তাঁদের পরিজনেদের। বিকল্প ব্যবস্থার নেওয়ার কথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বললেও এখনও তেমন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।

কোচবিহারের বাসিন্দা সঞ্জয় মহন্ত বলেন, “ডিসেম্বর মাসের ২৭ তারিখ এমআরআই করিয়েছিলাম, এখনও হন্যে হয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ঘুরছি রিপোর্টের জন্য। দেখি কবে পাওয়া যায়।” এমআরআই হওয়ার পর হাতে রিপোর্ট পাননি সীমা দাস নামের এক মহিলাও। তিনি বলেন, “মায়ের এমআরআই রিপোর্টের জন্য ঘুরছি। ৩১ ডিসেম্বরের আগেই করিয়েছিলাম। এখনও রিপোর্ট পাইনি।” চোপড়ার বাসিন্দা মহম্মদ জহিরুল বলেন, “বাবাকে নিয়ে চিকিৎসা করাতে এসেছিলাম। ডাক্তার এমআরআই লিখে দিয়েছেন। কিন্তু এখানে পরিষেবা বন্ধ। সুযোগসন্ধানীরা ঘুরছেন। বাইরে থেকেই করাতে হবে অগত্যা।” হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে রোগীদের বক্তব্য, বিকল্প ব্যবস্থা না করে এ ভাবে পরিষেবা বন্ধ করা উচিত হয়নি।

Advertisement

এই প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের সুপার ডাক্তার সঞ্জয় মল্লিক বলেন, “নতুন সংস্থা এসে জায়গা নির্বাচন করে গিয়েছে। এমআরআই সেন্টারের নতুন নকশা পূর্ত দফতর এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে দেওয়া হয়েছে। রোগীদের সমস্যা নিয়ে আমরা স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গেও কথা বলেছি। কিন্তু আপাতত কিছু করার নেই। দেখি, আমাদের কাছে যে যন্ত্র রয়েছে, সেটা দিয়েই কাজ চালাতে হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement