ফাইল চিত্র।
রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে তৃণমূলের তারকা প্রচারকদের তালিকা থেকে বাদ গেল সাংসদ নুসরত জাহান এবং সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র নাম। দেব, মিমি চক্রবর্তী, রাজ চক্রবর্তী, সায়নী ঘোষরা তারকা প্রচারকের তালিকায় থাকলেও নুসরত এবং বাবুলের নাম কেন নেই তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা।
আগামী ৩০ অক্টোবর দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দহ এবং গোসাবায় নির্বাচন। শুক্রবার তারকা প্রচারকদের তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল। দেব, মিমি, রাজ ছাড়াও ওই তালিকায় রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ সৌগত রায়, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের হয়ে প্রচার চালিয়েছিলেন নুসরত। তবে ভবানীপুর হোক বা শমসেরগঞ্জ, জঙ্গিপুর, গত ৩০ সেপ্টেম্বরে এই তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রচারেও দেখা যায়নি নুসরতকে। দলের এক সূত্র বলছে, সে সময় নুসরত তাঁর সদ্যোজাত সন্তানকে নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তাই তাঁকে এ ব্যাপারে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আসন্ন চার উপনির্বাচনে কেন তাঁকে তারকা প্রচারকদের তালিকায় রাখা হয়নি তার কারণ স্পষ্ট নয়।
অন্য দিকে, সদ্য তৃণমূলে আসা বাবুল সুপ্রিয়কেও তালিকায় ঠাঁই না দেওয়া নিয়েও চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। ভবানীপুরের ভোটের আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বাবুল। ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি-র প্রার্থী হয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। ওই তিন কেন্দ্রে জন্য বিজেপি-র তারকা প্রচারকদের তালিকায় বাবুলের নাম থাকলেও তিনি ওই কেন্দ্রে প্রচারে যাবেন না বলে দলকে জানিয়েছিলেন। তার মধ্যেই ভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দেন বাবুল। সূত্রের খবর, বিজেপি-র হয়ে প্রচার না করলেও তৃণমূলের হয়ে ওই কেন্দ্রে প্রচারের জন্য বলা হয়েছিল বাবুলকে। কিন্তু তিনি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নাকি অনুরোধ করেছিলেন তাঁকে প্রচারের তালিকা থেকে বাদ রাখার জন্য। তাঁরই এক সময়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে প্রচারে গররাজি ছিলেন তিনি। সে সময়ে তাঁর প্রচারে না থাকার যুক্তি থাকলেও এ বার তারকা প্রচারকদের তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ যাওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।