নিজস্ব চিত্র
হোম কোয়রান্টিনে থাকা নিয়ে মঙ্গলবারও পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদ হল রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের। তবে পুলিশের আপত্তি সত্ত্বেও এ দিন গাড়ি নিয়ে নিজের কাজে বেরোন সাংসদ।
এ দিনও জগন্নাথ অভিযোগ করেন, তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘অনৈতিক ভাবে আমাকে হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। কেন এই নির্দেশ তা জেলার স্বাস্থ্য দফতরে জানতে চেয়েছি, উত্তর পাইনি।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিপুরের আড়পাড়া গ্রামে জগন্নাথের বাড়ির সামনে আগেই পুলিশ মোতায়েন ছিল। মঙ্গলবার বেলার দিকে তিনি গাড়ি নিয়ে বের হতেই তাঁকে বাধা দেন পুলিশ কর্মীরা। সাংসদকে হোম কোয়রান্টিনে থাকার কথা স্মরণ করিয়ে দেন। পাল্টা যুক্তি দেখান সাংসদও। খানিকক্ষণ বচসার পরে সেখানে উপস্থিত এলাকার কিছু মানুষও পুলিশের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলেন। তাঁদের দাবি, সাংসদকে বেরোতে বাধা দেওয়া হচ্ছে এবং তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে।
কিছু সময় বাদানুবাদের পর অবশ্য রওনা দেন সাংসদ। এ দিন কল্যাণীতে কিছু কাজ সেরে পরে রানাঘাটে যান সাংসদ।
উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার বাধার মুখে পড়েছেন জগন্নাথ। কিন্তু বাইরেও বেরিয়েছেন। একই কোয়রান্টিন সেন্টারে যাওয়া তৃণমূল নেতাকে কেন হোম কোয়রান্টিনে পাঠানো হচ্ছে না, সেই প্রশ্নে অনড় থেকে এখনও নির্দেশ মানেননি সাংসদ। তাঁর প্রশ্নের সদুত্তর না পেলে এবং কোয়রান্টিন সেন্টারে যাওয়া তৃণমূল নেতাকে একই নির্দেশ না দেওয়া হলে তিনি হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ মানবেন না বলে জানিয়েছেন সাংসদ। সাংসদকে হেনস্থা করা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার চাকদহ থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা।