প্রতীকী চিত্র।
দলকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দু’দিন আগেই দলীয় নেতার স্মরণসভা করেছিলেন তিনি। সভায় ডেকে এনেছিলেন সম্প্রতি তৃণমূলের সঙ্গে ‘দূরত্ব’ তৈরি করা পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকেও। নাম না করে সে দিনই মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছিল জেলা তৃণমূল। রাজনীতির কারবারিদের একাংশের ধারণা, সেই পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়ে গেল। মঙ্গলবার সকাল থেকে মোশারফের দুই ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীকে ফিরিয়ে নিয়েছে জেলা পুলিশ।
নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়া প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমারকে এ দিন একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। উত্তর দেননি এসএমএসেরও। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক অবশ্য ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেন, রাজ্য সরকারের সবুজ সঙ্কেত পেয়েই সভাধিপতির নিরাপত্তারক্ষী সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে মোশারফের প্রতিক্রিয়া, ‘‘কেন নিরাপত্তা রক্ষী তুলে নিল, তা পুলিশই বলতে পারবে। এ নিয়ে পুলিশ আমায় কিছু জানায়নি।’’ জেলা তৃণমূলের সভাপতি আবু তাহের যদিও কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘‘উনি তো শুভেন্দুদার (পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী) পথে চলছেন। শুভেন্দুদা কনভয়-নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াই গোপনে বেলডাঙা ঘুরে গেলেন। আমার মনে হয়, সভাধিপতিও একই ভাবে নিরাপত্তারক্ষী নিজে থেকে ছেড়ে দিয়েছেন হয়ত।’’