—ফাইল চিত্র।
‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারি পরিষেবা পেয়েছেন এ রাজ্যের ১ কোটি ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষ। এমনটাই দাবি করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। মঙ্গলবার ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির খতিয়ান তুলে ধরে রাজ্য সরকারের দাবি, ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এই কর্মসূচির মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন ১ কোটি ২০ লক্ষ ৬৮ হাজার ৪২ জন।
১২টি সরকারি পরিষেবা রাজ্যের সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচি শুরু হয়েছিল গত ডিসেম্বরে। দু’মাস ধরে চলা ওই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে ধাপে ধাপে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কয়েক হাজার শিবির চালু করেছিল সরকার। আগামী ২৫ জানুয়ারি এই কর্মসূচির শেষ হবে। তবে তার আগেই ‘দুয়ারে সরকার’-এর আংশিক খতিয়ান প্রকাশ করেছে সরকার। সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্য মোট ২১ হাজার ৮৫৭টি শিবির খোলা হয়েছে। ওই শিবিরগুলিতে নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন ২ কোটি ২৫ লক্ষ ৭৮ হাজার ১৯৫ জন। তাঁদের মধ্যে পরিষেবা পেয়েছেন ১ কোটি ২০ লক্ষেরও বেশি।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক বার বিজেপি-র কটাক্ষের মুখে পড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বিজেপি-র দাবি, আসন্ন নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়েই এই কর্মসূচি শুরু করেছে রাজ্য। যদিও শাসকদলের পাল্টা দাবি, রাজ্যের মানুষকে ভুল বুঝিয়ে এই কর্মসূচিকে খাটো করার চেষ্টা করছে বিজেপি। সাধারণ মানুষ এতে অংশগ্রহণ করছেন এবং উপকৃতও হচ্ছেন।
রাজ্য সরকারের আরও দাবি, এই কর্মসূচির মাধ্যমে ‘খাদ্যসাথী’ প্রকল্পের আওতায় উপকৃত হয়েছেন ১১ লক্ষ ৯ হাজার ১৯১ জন। পাশাপাশি, ৭৫ লক্ষ ৮৩ হাজার ৭০১ জনের কাছে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প সুবিধা পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে। জাতিগত শংসাপত্র পেয়েছেন ১২ লক্ষ ২৪ হাজার ৩৪০ জন। ‘শিক্ষাশ্রী’-র আওতায় তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতির পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ২৩ হাজার ১১৭ জন পড়ুয়াদের এককালীন ভাতা দেওয়া হয়েছে। ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের সাহায্যে ২৫ হাজার টাকার এককালীন ভাতা পেয়েছে ৬২ হাজার ৮৯৯ জন। তফসিলি উপজাতিদের সুবিধায় ‘জয় জোহার’ প্রকল্পে ৪ হাজার ৭৭৬ জন লাভবান হয়েছেন। ‘তফসিলি বন্ধু’-র মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন ২৪ হাজার ৪২৮ জন। ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের ফায়দা পেয়েছে ২ লক্ষ ৬৪ হাজার ৩৭৬ জন ছাত্রী। ‘ঐক্যশ্রী’ প্রকল্পের আওতায় অনুদান পেয়েছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১ লক্ষ ৩১ হাজার ১৬০ জন। ১০ লক্ষ ৩২ হাজার ৯২ জন ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে রোজগার পেয়েছেন। ‘কৃষকবন্ধু’-র মাধ্যমে ৫ লক্ষ ৭৪ হাজার ৩২৪ জন সরকারি পরিষেবা পেয়েছেন। অন্য দিকে, ‘মানবিক’ প্রকল্পের আওতায় ৩৩ হাজার ৬৩৮ জন সুবিধা পেয়েছেন।