প্রতীকী ছবি
উপভোক্তাদের বাড়ি-বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার ভার রাজ্য সরকার রেশন দোকানগুলির উপরেই ছেড়ে দিচ্ছে। তারা পরীক্ষামূলক ভাবে ‘দুয়ারে রেশন’ চালু করতে চলেছে রেশন ডিলারদের অতিরিক্ত কমিশন এবং গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ভর্তুকির আশ্বাস দিয়েই। গোটা রাজ্যে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে এই ব্যবস্থা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে খাদ্য দফতর।
বাড়ি-বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে রেশন ডিলার সংগঠনের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা বৈঠক করেছে সরকার। ডিলারদের দাবি ছিল, এই অতিরিক্ত দায়িত্ব নিতে গেলে তাঁদের খরচ বেড়ে যাবে। একই সঙ্গে গাড়ি ভাড়া করা বা কেনার পথেও হাঁটতে হবে তাঁদের। সরকারের আশ্বাস, এই প্রকল্পের স্বার্থে ডিলারদের অতিরিক্ত কমিশন এবং গাড়ি কেনার জন্য ভর্তুকির প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে রাজ্য স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়ার খরচের বোঝা কোনও ভাবেই উপভোক্তাদের উপরে চাপানো যাবে না।
খাদ্য দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, ১৫% রেশন দোকানকে কাজে লাগিয়ে এই ব্যবস্থার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হবে। অক্টোবরে দোকানের সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে। কোথায় কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে, পরিকল্পনায় কোনও পরিমার্জন প্রয়োজন কি না, তা বুঝে ভাইফোঁটার সময় থেকে পুরোদমে শুরু হতে পারে দুয়ারে রেশন প্রকল্প। প্রথম থেকেই খাদ্যসামগ্রীর ওজন ঠিক রাখার উপরে বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে।
খাদ্য শিবির সূত্রের খবর, যথাযথ পরিমাণে খাদ্যশস্য উপভোক্তাকে দিতে হবে ই-পস যন্ত্রের মাধ্যমে। সেখানে আধার কার্ড যাচাই করে এবং বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে রেশন গ্রহণ করা যাবে। আবার উপভোক্তার মোবাইল ফোনে পাওয়া ‘ওটিপি’ দেখিয়েও সেই কাজ হবে। মোবাইল সংযোগের সমস্যায় কাজ যাতে বাধাপ্রাপ্ত না-হয়, তা নিশ্চিত করতে সরকার শক্তিশালী ইন্টারনেট পরিষেবাযুক্ত সিম ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছে রেশন ডিলারদের। বাড়িতে পৌঁছনো রেশন কেউ কোনও কারণে সংগ্রহ করতে না-পারলে পরে রেশন দোকান থেকে তা নেওয়া যাবে।