নির্যাতিতার বাবার পাশে। শান্তিনিকেতনে।
অনেক আশা নিয়ে বিশ্বভারতীতে পড়তে এসে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি। এক বছর পরে ফের বিশ্বভারতীতে ফিরে ফের অসুস্থ হয়ে গেলেন ভিন রাজ্যের সেই নির্যাতিতা তরুণী।
মেয়ের উপরে নির্যাতনের বিচার চেয়ে গত শুক্রবার বিশ্বভারতী চত্বরে প্রতীকী অনশনে বসেছিলেন ওই নির্যাতিতার বাবা ও মা। তার পরে তাঁরা ফিরে যান। এ দিন বাবা ও মেয়ে ফিরে আসেন বিশ্বভারতীতে। একই জায়গায় এ বার আমরণ অনশনে বসেন ছাত্রীটির বাবা।
তাঁর পাশেই অবস্থানে বসেন কলাভবনের প্রথম বর্ষের ওই নির্যাতিতা ছাত্রী। কয়েক ঘণ্টা
পরেই ওই তরুণী অসুস্থ বোধ করতে করেন। জ্ঞানও হারান। বিকেলেই তাঁকে বিশ্বভারতীর পিয়ারসন মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে অবশ্য তাঁর জ্ঞান ফিরেছে। তবে, ‘আতঙ্ক’ এবং ‘দুশ্চিন্তা’য় ফের অসুস্থ হতে পারেন বলে চিকিৎসকদের আশঙ্কা।
গত বছর অগস্টের শেষে ওই ছাত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে কলাভবনেরই তিন সিনিয়র ছাত্রের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে, ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। নির্যাতিতার চিকিৎসা খরচ দাবি করে এবং অভিযুক্ত ছাত্রদের পুনরায় ক্লাসে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে সরব হন নির্যাতিতার বাবা-মা। সেই প্রতিবাদকে সমর্থন জানিয়ে মঙ্গলবার আশ্রমে বিক্ষোভ ও মিছিল করেন বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীরা।
নির্যাতিতার বাবা এ দিন জানান, আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত চলবে অনশন। তবে বিশ্বভারতীর কর্মী, অধ্যাপক, আধিকারিকদের বিভিন্ন সংগঠনের অনুরোধে আমরণ অনশন প্রত্যাহার করেন তিনি। নির্যাতিতার বাবা বলেন, “মেয়ের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের বিচার
চেয়ে নানা জায়গায় গিয়েছি। ফল হয়নি। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী
স্মৃতি ইরানি এবং এই প্রতিষ্ঠানের আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আর্জি জানানোর জন্য এ বার দিল্লি যাব।”
রাত পর্যন্ত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের হয়ে কাউকেই নির্যাতিতার পরিবারের পাশে অথবা ওই অনশনের জায়গায় দেখতে পাওয়া যায়নি। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব মণিমুকুট মিত্র এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি।