রবিবার দুপুরে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে মোকা। প্রতীকী ছবি।
ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মোকা। এই প্রতিবেদন লেখার সময় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসাবে এগোচ্ছে মোকা। শুক্রবার রাতের মধ্যেই আরও শক্তি সঞ্চয় করবে ঘূর্ণিঝড়। রাতের মধ্যেই মোকা মারাত্মক প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আবহবিদদের ভাষায়, যা ‘এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ নামে পরিচিত। শনিবার সমুদ্রের উপরেই থাকবে ঘূর্ণিঝড়। সেই সময় ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ২১০ কিমি। এমনটাই জানাল মৌসম ভবন।
উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে রাতের মধ্যেই পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে মারাত্মক প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিতে পারে মোকা। ১৩ তারিখ সমুদ্রেই থাকবে ঝড়। সেই সময়ই মোকার সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ২১০ কিমি। রবিবার দুপুরে বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মায়ানমারের কায়াকপুরের মধ্যে আছড়ে পড়বে মোকা। শুক্রবার রাতে শক্তি বাড়িয়ে মারাত্মক চেহারা নিলেও রবিবার দুপুরে স্থলভাগে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসাবেই আছড়ে পড়তে পারে মোকা। ওই সময় ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৬০ কিমি। সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৭৫ কিমি। অর্থাৎ, স্থলভাগে প্রবেশের পর খানিকটা শক্তিক্ষয় হবে মোকার।
ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে পশ্চিমবঙ্গ রেহাই পেয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে, আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ঝড় বাংলাদেশের দিকে যাচ্ছে। বাংলার জন্য তেমন কোনও সতর্কতা জারি করা হচ্ছে না। শুধু মাত্র, রবিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। দিঘা-সহ রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় ঝড় মোকাবিলায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
আলিপুর জানিয়েছে, শনিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষত, উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে। সোমবার উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। সোমবারের পর মালদহ এবং দুই দিনাজপুর জেলাতেও বৃষ্টি হতে পারে। আপাতত রবিবার পর্যন্ত তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হবে না।
তবে সোমবার থেকে আবার গরম বাড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। সোমবার পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।