CPM

বায়রনের দলবদলের পরেও সাগরদিঘি মডেলেই আস্থা মহম্মদ সেলিমের

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘাটালের জনসংযোগ যাত্রায় গিয়ে বাইরণ জোড়া ফুলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন। কিন্তু তাতেও সাগরদিঘি মডেল ধাক্কা খায়নি বলেই দাবি সেলিমের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২৩ ১৯:৩৩
Share:

(বাঁ দিকে) অভিষেক বন্দোপাধ্যায়-বাইরন বিশ্বাস। মহম্মদ সেলিম (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস দলবদল করলেও সাগরদিঘি মডেলের ওপরেই আস্থা রাখলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। বুধবার কলকাতা প্রেস ক্লাবের ‘মিট দ্য প্রেস’ -এ তেমনই জানালেন সেলিম। পঞ্চায়েত ভোটে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের জোটে লড়াই করে জিতেও, সাগরদিঘির বিধায়ক দলবদল করেছেন, এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘বিধায়ক দলবদল করতেই পারেন। তবে মনে রাখতে হবে সাগরদিঘির মানুষ কিন্তু তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন। আমরা মনে করি মানুষের মতামতকে সম্মান জানানো উচিত। কিন্তু বিধায়ক জনাদেশকে সম্মান না জানিয়ে দলবদল করেছেন। তার মানে এই নয় যে সাগরদিঘির মানুষও নিজেদের মতামত বদল করেছেন।’’ সেলিম আরও বলেন, ‘‘এই পঞ্চায়েত ভোটে আমরা বুথে বুথে মানুষের প্রতিরোধ দেখছি। দেখছি কী ভাবে মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনীকে জবাব দিচ্ছে। তাই সাগরদিঘির বিধায়ক যতই দলবদল করুন, সেখানকার মানুষ পথ দেখিয়েছিলেন যে তৃণমূল ও বিজেপিকে রুখে দিয়ে লড়াই করা যায়।’’

Advertisement

২ মার্চ সাগরদিঘি বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণায় দেখা যায় তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন বামফ্রন্ট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। কিন্তু জয়ের তিন মাসের মধ্যেই দলবদল করেছেন সেই বিধায়ক। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের ঘাটালের জনসংযোগ যাত্রায় গিয়ে বাইরন জোড়াফুল পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন। কিন্তু তাতেও সাগরদিঘি মডেল ধাক্কা খায়নি বলেই দাবি করেছেন সেলিম।

পটনায় বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করে পটনার এক মঞ্চে হাজির হয়ে আসলে কি বার্তা দিতে চাইছে সিপিএম? জবাবে সেলিম বলেন, "পটনার বৈঠক কোনও জোটের বৈঠক ছিল না। কোনও আসন সমঝোতার আলোচনা সেখানে হয়নি। গত বছর এপ্রিল মাসে কান্নুর পার্টি কংগ্রেসে সিদ্ধান্ত হয়েছে রাজ্য ভিত্তিক আসন সমঝোতা হতে পারে। কিন্তু কোনও ফ্রন্ট গঠন হবে না। তাই ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে কোনরকম নির্বাচনী জোট হবে না।" তিনি আরও বলেন, "১৯৯৬ সালে বিজেপিকে সরকার গঠন থেকে রুখতে বামেদের নেতৃত্বেই কেন্দ্রে যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠন হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন দেবেগৌড়া।" ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরেই সেভাবে জোট গঠন করে সরকার গঠন হতে পারে বলেই মনে করছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক।

Advertisement

পঞ্চায়েত ভোটে বুুথ স্তরে বাম কংগ্রেস ও বিজেপির জোট হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সেলিম বলেন, "এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষের জোট হয়েছে। সিপিএম তার শরিক দলগুলিকে নিয়ে জোট করেছে। সেই জোটে কোথাও কংগ্রেস সামিল হয়েছে, কোথাও বা সামিল হয়েছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট।" তিনি আরও বলেন, "তৃণমূল ও বিজেপিকে দূরে রেখে মানুষ যে দর্শন করেছে সিপিএম তথা বামপন্থীরা সেই জোটে থেকে মানুষের স্বার্থে লড়াই করছে।"

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement