অখিল গিরি। ফাইল চিত্র
করোনা পজেটিভ হয়ে সোমবার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হলেন রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি। চিকিৎসকদের পরামর্শেই তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন অখিল।
ঘটনাচক্রে, সোমবারেই অখিল জানিয়েছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামের সভায় থাকতে পারছেন না তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের শীর্ষনেতৃত্ব অখিলকে ওই বিষয়টি জানিয়ে বলেছেন, জনসভার পরিবর্তে ৭ তারিখ নন্দীগ্রামে কর্মিসভা হতে পারে। সেখানে থাকবেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। অখিলই তা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। তার পরেই জানা যায়, তিনি করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি অখিল বলেছেন, ‘‘উপসর্গ দেখা দেওয়ায় কোভিড পরীক্ষা করিয়েছিলাম। রিপোর্ট পজিটিভ আসায় চিকিৎসকরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতোই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।’’
অখিলের অনুপস্থিতির কারণেই মমতার সভা পিছিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সোমবার তিনি বলেন, ‘‘অখিল ছাড়া ওই কর্মসূচি সম্ভব নয়। উনি সুস্থ হলেই মমতার সভার দিনক্ষণ ঠিক করা হবে।’’
৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামের তেখালিতে সুব্রত বক্সির সভায় দলনেত্রী মমতার মতোই অনুপস্থিত থাকবেন অখিল। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের সভার পরদিনই নন্দীগ্রামে পাল্টা সভা করার কথা জানিয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঘটনাচক্রে, শুভেন্দু দল ছাড়ার পর অখিলকেই সামনে রেখে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এগোতে চাইছেন তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্ব। কারণ, শুভেন্দুর দলত্যাগের পর দলের সভায় আসা কার্যত বন্ধ করে দিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী। কিন্তু এখন সেই অখিল করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় কিছুটা দ্বিধায় তৃণমূল নেতৃত্ব। দলনেত্রী না আসার খবরে নন্দীগ্রাম-সহ জেলা তৃণমূলের কর্মীরা যাতে হীনবল না হয়ে পড়েন, তাই রাজ্য সভাপতিকে পাঠানো হচ্ছে।
গোটা অধিকারী পরিবারের সঙ্গেই আপাতত তৃণমূলের দূরত্ব থাকায় নন্দীগ্রামের সভার অয়োজনে অখিলের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখন অখিলকে বাদ দিয়েই ফের নতুন করে ছক সাজাতে হচ্ছে তাঁদের। মঙ্গলবার সকালে এই বিষয়ে আলোচনা করতে ডাকা হয়েছে জেলা কমিটির বৈঠক। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অখিল সেই বৈঠকেও থাকতে পারবেন না। খাতায়কলমে এখনও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি পদে রয়েছেন শিশির, জেলা কমিটিতে রয়েছেন তমলুকের সাংসদ তথা শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। কিন্তু জেলা কমিটির বৈঠকে তাঁদের ডাকা হয়নি বলেই সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি মমতা নন্দীগ্রাম যাচ্ছেন না, যাবেন বক্সি, জানালেন অখিল
আরও পড়ুন: বঙ্গভোটে চাকরির ‘টোপ’ তুলে নিল বিজেপি