প্রতীকী ছবি।
পঞ্চসায়রের একটি হোম থেকে গভীর রাতে আচমকা রাস্তায় বেরিয়ে পড়া এক মৃগীরোগিণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। পুলিশ এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। তারা জানায়, তদন্তে শুরু হয়েছে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দিন দুয়েক আগে অসু্স্থতা বেড়ে যাওয়ায় বছর আটত্রিশের ওই মহিলাকে পঞ্চসায়রের হোমে এনে রাখা হয়। হোমের বক্তব্য, সোমবার বেশি রাতে তিনি নিজেই নোড়া দিয়ে তালা ভেঙে বাইরে বেরিয়ে পড়েন। অভিযোগ, মহিলাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে কিছু যুবক তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। তার পরে তাঁকে সোনারপুরের কাছে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। ভোরের দিকে কিছু নিত্যযাত্রী তাঁকে ট্রেনের টিকিট কেটে বালিগঞ্জে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করে দেন। সেখান থেকে মহিলা রক্তাক্ত অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে গড়িয়াহাটে মাসির বাড়িতে গিয়ে পৌঁছলে পুরো বিষয়টি জানাজানি হয়। মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য রাতে ওই মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হয় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
মহিলার পরিবারের পক্ষ থেকে হোমের ঢিলেঢালা নিরাপত্তা নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছে। নির্যাতিতার বোন বলেন, ‘‘দিদি রাতের অন্ধকারে তালা ভেঙে হোম থেকে বেরিয়ে পড়া সত্ত্বেও সেটা হোমের কারও নজরে পড়ল না কেন, তার সদুত্তর মিলছে না। হোমে সুরক্ষার ব্যবস্থা খুবই শিথিল। দিদির সমস্যার কথা জানালেও ওঁরা তেমন গুরুত্ব দেননি।’’ কিন্তু হোম-কর্তৃপক্ষ সেই অভিযোগ মানতে রাজি নন বলে জানায় ওই পরিবার। মহিলাকে খুঁজে না-পেয়ে হোমের পক্ষ থেকে নিখোঁজ-ডায়েরি করা হয় পঞ্চসায়র থানায়। মহিলার উপরে যে যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে, পরিবারের তরফে সেই অভিযোগ তোলা হয় তার পরে।
আরও পড়ুন: ফিরোজ নামে ডাকছিল, হোম-আবাসিককে গণধর্ষণের ঘটনায় সেই সূত্র ধরে এগোচ্ছে পুলিশ
বাবার মৃত্যুর পরে ওই মহিলা থাকতেন মায়ের সঙ্গে। পরিবারের অভিযোগ, রেগে গিয়ে মাঝেমধ্যেই ভাঙচুর চালাতেন তিনি। সেই অবস্থায় পরিবারের লোকজনকে মারধরও করতেন। তাঁর বোন বলেন, ‘‘কয়েক মাস ধরে মা শয্যাশায়ী। বাড়িতে রেখে দেখাশোনার অসুবিধা। তাই দিদিকে হোমে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’’