রাজভবনে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীরর ঘরে বৈঠক। —নিজস্ব চিত্র।
লোকসভা ভোটের পরে রাজ্যে দ্রুত মাথা চাড়া দিচ্ছে ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক বিভাজন। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় সংখ্যালঘু মুখেদের সামনে রেখে সেতুবন্ধনের চেষ্টায় নামল তৃণমূল। সংখ্যালঘু নেতারা আবেদন জানালেন বৃহত্তর সমাজের কাছে, ডাকা হল কনভেনশনও।
রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর রাজভবনের আবাসনে শনিবার রাতে বৈঠকে বসেছিলেন আর এক মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা, প্রাক্তন মন্ত্রী ও প্রাক্তন বিচারপতি নুরে আলম চৌধুরী, সাংসদ আলি ইমরান, নাদিমুল হক প্রমুখ। ছিলেন জামাত-ই-ইসলামির তহিরুল হক, রেড রোডে ইদের নমাজের ভারপ্রাপ্ত কারী ফজলুর রহমান এবং আরও কয়েকটি সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সাম্প্রতিক কালে এমন কোনও উদ্যোগে রেজ্জাক বা নুরে আলমের শামিল হওয়া এই প্রথম। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, হিংসা ও অবিশ্বাসের বাতাবরণ বন্ধ করতে জেলায় জেলায় শিবির খোলা হবে। জুলাইয়ের শেষে হবে কনভেনশন।
সিদ্দিকুল্লা বলেন, ‘‘এটা ধ্বংসের শুরু! সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ তৈরির ঐতিহ্য বাংলার নয়। কোনও ঘটনা ঘটলেই তাতে যে ভাবে সাম্প্রদায়িক রং লাগানো হচ্ছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আর সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হলে শুধু সংখ্যালঘুরাই প্রতিবাদ করবেন, এ ভাবে সমাধান হবে না। আমরা সকলের কাছেই আবেদন করছি, এমন ঘটনার সবাই মিলে প্রতিবাদ করুন।’’ রেজ্জাকেরও বক্তব্য, বাংলার এখন যা পরিস্থিতি, তাতে সকলকেই সক্রিয় হতে হবে। সিদ্দিকুল্লা জানান, কুরবানির ইদের আগেই তাঁরা কনভেনশনের আয়োজন করবেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমাদের আবেদন, আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নেবেন না। প্রশাসনকে জানান, তারাই ব্যবস্থা নেবে।’’
তৃণমূলের মন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশিই সিদ্দিকুল্লা জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের রাজ্য সভাপতি। ভাটপাড়ায় লাগাতার অশান্তির প্রেক্ষিতে তাঁরা পুলিশ কমিশনার এবং বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের কাছে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলেন শান্তিরক্ষার আর্জি নিয়ে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।