পার্ক সার্কাস ময়দানে সিএএ বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি বা জাতীয় নাগরিক পঞ্জির বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত।—ফাইল চিত্র।
কলকাতার ‘শাহিন বাগ’ পার্ক সার্কাস ময়দানে সিএএ বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি বা জাতীয় নাগরিক পঞ্জির বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত। ওই মাঠেই আজ, শনিবার থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মিলন উৎসব পালন করবে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম। সংখ্যালঘুদের জন্য বিশেষ ভাবে পরিকল্পিত বার্ষিক মেলার এ বারের থিম ‘আমাদের সংবিধান, আমাদের শক্তি’। তবে প্রতি বছর মেলার মাঠে প্রতি সন্ধ্যায় যে-ভাবে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান হত, আন্দোলনের কথা মাথায় রেখে এ বার তা বাদ দিয়েছে সংখ্যালঘু দফতর। তার পরিবর্তে গজ়ল পরিবেশন করা হবে।
সংখ্যালঘু দফতরের কর্তারা জানান, প্রতি বারেই কোনও না-কোনও থিম নিয়ে এই উৎসবের পরিকল্পনা করা হয়। গত বছরের থিম ছিল জাতীয় সংহতি। তার আগের বছরের থিম ছিল বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য। এ বার দেশের পরিস্থিতির নিরিখে ‘আমাদের সংবিধান, আমাদের শক্তি’ থিম মাথায় রেখে সমগ্র পরিকল্পনা করা হয়েছে। থিম প্যাভিলিয়ন ছাড়াও বসে আঁকো ও কুইজ প্রতিযোগিতায় সংবিধানকে মাথায় রেখেই সব কিছু করা হচ্ছে।
মিলন মেলায় এ বারেও চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে বলে জানান সংখ্যালঘু দফতরের কর্তারা। ৫২টি সংস্থাকে চাকরি মেলায় নিয়ে আসছে একটি পরামর্শদাতা সংস্থা। এ-পর্যন্ত ১১ হাজার সংখ্যালঘু যুবক-যুবতী চাকরি মেলায় যোগ দিতে আবেদন করেছেন। এ বার অন্তত এক হাজার প্রার্থীকে যাতে চাকরি দেওয়া যায়, তার চেষ্টা চালাচ্ছেন কর্তারা।
চাকরি মেলার পাশাপাশি কেরিয়ার গাইডেন্স শিবিরও করছে সংখ্যালঘু দফতর। অংশগ্রহণকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে চাকরি পাওয়ার সুযোগ সংক্রান্ত পুস্তিকা। রাজ্যের ২৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা মেলায় উপস্থিত থেকে সংখ্যালঘু যুবক-যুবতীদের উচ্চশিক্ষা ও কর্মসংস্থান নিয়ে বিশেষ পরামর্শ দেবেন। এ ছাড়া এক হাজার সংখ্যালঘু যুবক-যুবতীকে নিজের উদ্যোগ গড়ে তোলার জন্য ঋণ দেওয়া হবে।
সংখ্যালঘু দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, পার্ক সার্কাস ময়দানে আন্দোলন চলতে থাকায় মিলন উৎসব নিয়ে প্রাথমিক ভাবে সংশয় ছিল। কিন্তু সংখ্যালঘুদের অধিকার ও সুবিধার স্বার্থেই তো এই মেলা। তাই আন্দোলন যেমন চলছে চলবে। তার পাশাপাশি চলবে মেলাও। তবে ‘আজাদি’ আন্দোলনের জন্যই সান্ধ্য অনুষ্ঠানে বিনোদন রাখা হচ্ছে না।