ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানে গিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলছেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সোমবার সন্দীপ পালের তোলা ছবি।
কাচের টেবিলের ওপর রাখা ফুলদানি নড়তে শুরু করতেই শব্দটা টের পেয়েছিলেন তিনি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে কাঁপতে শুরু করে বড় বড় কাচের জানালার বন্ধ পাল্লাও। ভূমিকম্প হচ্ছে বুঝতে পেরেই শিলিগুড়ি সার্কিট হাউসের প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুইটের খাওয়ার জায়গায় বেরিয়ে আসেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তখনও জানলা থেকে শিরশির করে একটানা মৃদু শব্দ আসছিল। বোঝা যাচ্ছিল, ভূমিকম্প চলছে। দ্রুত দরজা খুলে সার্কিট হাউসের ব্যালকনিতে চলে আসেন সীতারামন।
তত ক্ষণে সার্কিট হাউসের কর্মীরাও ভূমিকম্প টের পেয়ে লনে বেরিয়ে এসেছেন। ভিভিআইপি-র ঘরে আলো জ্বলতে দেখে তাঁরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন। যদিও মন্ত্রী তার আগেই ঘরে ঢুকে গিয়েছিলেন। কিছু ক্ষণ পরে নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে ট্যুইটও করেন মন্ত্রী। ট্যুইটে লেখেন, ‘‘বুঝতে পারলাম ঘর কাঁপছে, শিলিগুড়ির সরকারি অতিথিনিবাসে। আশা করি সবাই ঠিক আছেন।’’
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ন’টা নাগাদ রাতের খাওয়া সেরে সার্কিট হাউসে নিজের ঘরে ঢুকে গিয়েছিলেন তিনি। সার্কিট হাউসে দোতলার ঘরে আছেন মন্ত্রী। ভূমিকম্পের পরে মন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া। গত কাল মন্ত্রীর সঙ্গে তিনিও শিলিগুড়ি আসেন। তার পরে এ দিন সকালেই সাংসদ সার্কিট হাউসে চলে আসেন। পরে অহলুওয়ালিয়া বলেন, ‘‘আমি নিজেও ভোর থেকেই জেগে। মন্ত্রীর খোঁজ নিয়েছি। কম্পন টের পেয়েই উনি বাইরে চলে এসেছিলেন। তবে ঘাবড়ে যাননি। ট্যুইট
করে সকলের শুভ কামনা করেছেন।’’
বেলা বাড়তে ভূমিকম্পে কোথাও কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, নিজের আপ্ত সহায়কদের কাছ থেকে তার খোঁজ নিয়েছেন মন্ত্রী। পরে জলপাইগুড়ির ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানে গিয়েও তিনি জানান, ভূমিকম্প বেশ ভালই অনুভব করেছেন।
রবিবার উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন সীতারামন। বিমানবন্দর থেকেই তিনি বন্ধ চা বাগান পরিদর্শনে যান। সন্ধ্যায় পৌঁছন শিলিগুড়ি সার্কিট হাউসে। এ দিন ডেঙ্গুয়াঝাড় ঘুরে ফের সার্কিট হাউসে পৌঁছে বন্ধ চা বাগান নিয়ে বৈঠক করেন। আজ, মঙ্গলবার তাঁর দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা।