সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। ফাইল চিত্র।
মুর্শিদাবাদের ডোমকল থেকে আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে ধৃতদের ‘নিরপরাধ’ বলে দাবি করলেন রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। এ দিনই মালদহে গরু পাচার কাণ্ডে বিএসএফ-এর দিকেই আঙুল তুলেছেন তিনি। আল কায়দা প্রসঙ্গে সিদ্দিকুল্লার বক্তব্য, মসজিদের ইমাম, স্থানীয় পঞ্চায়েত ও কাউন্সিলরের থেকে তিনি জেনেছেন, ধৃতদের অধিকাংশই ‘ছা-পোষা’। তাঁর কথায়, ‘‘ডোমকলে যা ঘটেছে, তাতে দু’-এক জন জাকির নায়েকের বই পড়েছে। বই পড়ে একটা মানসিকতা তৈরি হয়েছে। তা বলে তাদের উপর শাস্তি বর্তায় না।’’
মন্ত্রীর অভিযোগ, মুসলিম সমাজকে দায়ী করতেই বিজেপি এ রাজ্যে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে এই কাজ করাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘মুসলমান অনাথ। তার ভোট নেওয়া যাবে, কিন্তু তার পক্ষে কথা বলা যাবে না! বাংলার মানুষ এক সঙ্গে রয়েছে বলেই বিজেপি বিভাজন চাইছে।’’ খাগড়াগড় কাণ্ডেও মাদ্রাসা বা মসজিদ জড়িত ছিল না দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘‘মসজিদ, মাদ্রাসা, ইমামদের নাম করে মুসলমান সমাজের সঙ্গে সঙ্ঘাত তৈরি করতে চায় দিল্লি। কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা আরবি পড়তে জানেন না বলেই নিরপরাধ মানুষকে জঙ্গি বানাচ্ছেন।’’
গরু পাচার নিয়ে সিদ্দিকুল্লার মন্তব্য, ‘‘সীমান্তে যাঁরা আছেন, সশস্ত্র বল বা বিএসএফ... মূল অপরাধী তাঁরা। গরু পাচার যারা করছে তারা অনেক নীচে। বিএসএফ তুমি সরকারের উর্দি পরেছ, তোমাদের হাতে রাইফেল। গদ্দারি করলে বিএসএফ করেছে।’’ আধা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে মন্ত্রীর এই ক্ষোভ নিয়ে হইচই পড়েছে। এ নিয়ে বিএসএফের মালদহ সেক্টর বা সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের কোনও আধিকারিক মন্তব্য করতে চাননি।