প্রতীকী ছবি।
চিলাহাটি দিয়েই ভারত থেকে বাংলাদেশে যাবে ট্রেন। শনিবার দুপুরে চিলাহাটির জিরো পয়েন্টে ভারত-বাংলাদেশ সংযোগকারী রেলপথের নির্মাণ কাজ দেখতে আসেন বাংলাদেশের রেলপথমন্ত্রী মহম্মদ নুরুল ইসলাম সুজন। তিনি হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেল লাইনের কাজ খতিয়ে দেখার পরে সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে একটি বৈঠকেও অংশ নেন। দীপাবলি উপলক্ষে বাংলাদেশের রেলপথমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান বিএসএফের কর্তারা।
স্বাধীনতার পর থেকে বন্ধ হয়ে থাকা এই রেলপথটি সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে আলাপ আলোচনার পরে খোলার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই পথ খুলে গেল নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে এই অঞ্চলের রেল পরিবহণে। একে তো ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এই অংশ দিয়ে প্রথমে পণ্য পরিবহণ শুরু হবে। তার পরে যাত্রী পরিবহণের সম্ভাবনাও তৈরি হবে। স্বাধীনতার আগে এই পথটি দিয়েই উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গে যাতায়াত করত ট্রেন। সুদূর ভবিষ্যতে সেই সম্ভাবনার দরজাও খুলতে পারে বলে দুই দেশের বাসিন্দারা আশাবাদী।
এই রেলপথটির বাংলাদেশ অংশে প্রথমে গেজ বদলের কাজ হয়েছে। তার পরে দুই দেশের মধ্যে কাঁটাতার তুলে লাইন সংযোগের কাজ চলছে। এ দিন সেই কাজের অগ্রগতি দেখেন বাংলাদেশের মন্ত্রী। বিএসএফের তরফে তাঁর হাতে ফুলের তোড়া ও মিষ্টি তুলে দেওয়া হয়। সীমান্তের বৈঠকে বিজিবির (বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ) আধিকারিকেরা ও বাংলাদেশের নীলফামারির জেলাশাসক মহম্মদ হাফিজুর রহমান, নীলফামারির এসপি মহম্মদ মুখলেশ্বর রহমান, বিএসএফের ৬৫নং ব্যাটালিয়নের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডেন্ট সিদ্ধার্থ সিংহ উপস্থিতি ছিলেন। বাংলাদেশের রেলপথমন্ত্রী বলেন, ‘‘ডিসেম্বরের মধ্যেই বহু প্রতীক্ষিত হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেলপথটি যাতে খুলে দেওয়া যায়, সে বিষয়ে ভারতীয় রেল দফতরকে জানানো হয়েছে। ভারতের তরফে সবুজ সঙ্কেত মিললে, দ্রুত রেলপথের উদ্বোধন করা হবে।’’