মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রতি বারের মতোই গানে, কথায়, কবিতায় ভরে উঠল সরকারি মঞ্চ। মধ্যমণি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইদানীং রাজ্য সরকারের যে সমস্ত অনুষ্ঠান কলকাতায় হয়, সেখানে সঞ্চালনা করতে দেখা যায় রিনিকে। কিন্তু বুধবার দেশপ্রিয় পার্কে রাজ্য সরকার আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করতে দেখা গেল মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনকে। আর তাঁকে নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে উঠলেন, ‘‘ইন্দ্রনীল বিনা পয়সার অ্যাঙ্কর (সঞ্চালক)। ওর ডিপার্টমেন্টের প্রোগ্রাম। ও-ই অ্যাঙ্কর।’’ ইন্দ্রনীল তথ্য সংস্কৃতি দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী। সেই দফতরই ছিল বুধবার অনুষ্ঠানের আয়োজক। তবে এখনেই থামেননি মমতা।
ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে ইন্দ্রনীলই বক্তাদের একে একে ডাকছিলেন। মাঝে মাঝে রূপঙ্কর বাগচী, শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাবুল সুপ্রিয়দের গানও গাইতে ডাকছিলেন তিনি। সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের গান হয়ে যাওয়ার পর ইন্দ্রনীল বলেন, ‘‘আমরা যে জন্য অপেক্ষা করছি, এ বার তাঁর বক্তব্য শুনব। কবি, সাহিত্যিক, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’
কিন্তু দেখা যায় চেয়ার ছেড়ে উঠে পোডিয়ামের দিকে না গিয়ে বসেই হাতে মাইক নেন মমতা। তার পর ইন্দ্রনীলের উদ্দেশে বলেন, ‘‘তুমি একটা গান গাও। তুমি যে গায়ক, সেটা ভুলে যাচ্ছ কবে থেকে? বিনা পয়সার অ্যাঙ্কর হয়ে এখন সুযোগ বুঝে কাটিয়ে দিচ্ছে।’’ মমতা বললে আর সে কথা ফেলার সাধ্য কার আছে! ইন্দ্রনীলেরও ছিল না। ফলে তাঁকে গান করতে হয়। মমতার লেখা ও সুর করা একটি গানই পরিবেশন করেন ইন্দ্রনীল।
এর আগেও প্রকাশ্য মঞ্চে ইন্দ্রনীলের ব্যাপারে মমতাকে মজার কথা বলতে শোনা গিয়েছিল। একবার গল্প করে মমতা শুনিয়েছিলেন, ইন্দ্রনীল নাকি এক প্যান্ট অনেক দিন পরেন। কাচেন-টাচেন না। সেটা আবার না কি ধরেছিলেন আর এক মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।