ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।
জমি ও বাড়ির মিউটেশনের কাজ করতে গেলে বিভিন্ন পুরসভায় নেওয়া হচ্ছে উন্নয়ন বাবদ অর্থ। এমনই অভিযোগ জমা পড়ছিল পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে। এ বার পুরসভাগুলিকে লিখিত নির্দেশ পাঠিয়ে এমন অভিযোগের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শনিবার কলকাতার পুরসভায় আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে কালনা পুরসভার বিরুদ্ধে উন্নয়ন বাবদ অর্থ নেওয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
জবাবে ফিরহাদ বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের ঠিক করে দেওয়া কর ছাড়া আর কোনও অর্থ বাসিন্দাদের থেকে নেওয়া যাবে না। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর এই বিষয়টি আগেই স্পষ্ট করে জানিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মানুষের উপর বাড়তি করের বোঝা চাপাতে নারাজ। তাই আমি সব পুরসভাকে একটি নির্দেশিকা পাঠিয়েছি। যেখানে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও ভাবেই বাড়তি অর্থ নেওয়া যাবে না।’’ পুর দফতর সূত্রে খবর, জুলাই মাসেই এই সংক্রান্ত বিষয়ে পুরমন্ত্রীর চিঠি রাজ্যের সব পুর নিগম ও পুরসভায় পাঠিয়েছে দফতর। এমনকি, ওই চিঠিতে দু’টি সরকারি বিজ্ঞপ্তির কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে পুরমন্ত্রী লিখেছেন, পুরসভা, নোটিফায়েড এলাকা এবং পুর নিগমগুলিকে আইন মোতাবেক সার্ভিস চার্জ নিতে হবে। সরকারি নির্দেশিকা থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন পুর নিগম ও পুরসভায় এখনও উন্নয়ন ফি নেওয়ার অভিযোগ আসছে। ২৪ জুন নবান্নের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে যে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, তা-ও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ কোনও ভাবেই অমান্য করা যাবে না।
এমন নির্দেশের পাশাপাশি, আরও বেশ কিছু নির্দেশ এই চিঠিতে দিয়েছেন পুরমন্ত্রী। তার মধ্যে অন্যতম হল, অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স দিতে হবে। ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার পর কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঠিকানায় গিয়ে ট্রেড লাইসেন্সের সত্যতা যাচাই করতে হবে। লাইসেন্স সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ে অভিযোগ পেলে তা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে ব্যবস্থা নিতে হবে। অনলাইনেই যাবতীয় নকশা ও মিউটেশনের কাজ সম্পন্ন করতে হবে।