সম্ভাবনা প্রচুর। বানতলা চর্মনগরীতে ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন পরিকাঠামো। তাই আগামী তিন বছরের জন্য রাজ্যের চর্মশিল্পে ব্যবসায়িক লেনদেনের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধির অঙ্ক বেঁধে দিলেন শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র। ২০২১ সালের মধ্যে রাজ্যের চর্মশিল্পের ব্যবসা ১৩ হাজার কোটি থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন তিনি।
সোমবার রাজারহাটে বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে চর্মশিল্পের সংগঠনের উদ্যোগে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক চর্মমেলা। ইতালি, জার্মানি, জাপান, ব্রিটেন, সুইডেন-সহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা এসেছেন। এসেছে চর্মশিল্পের বড় বড় সংস্থা। অমিতবাবু জানান, ২০২১ সালের মধ্যে রাজ্যের চর্মশিল্পের রফতানি ১৩ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছেন তিনি। এই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনো গেলে শুধু চর্মশিল্পেই রাজ্যের কর্মসংস্থান বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যাবে বলে তাঁর দাবি।
চর্মনগরীতে মেগা ক্লাস্টার তৈরি হচ্ছে। ৬০ একর জমিতে জুতো কারখানা, চারটি বর্জ্য শোধনাগার গড়া হবে। গড়ে উঠবে চর্মশিল্পের উপযোগী নকশা তৈরির কেন্দ্রও। মেগা ক্লাস্টারে আসার জন্য কানপুর ও চেন্নাইয়ের ৩০০টি সংস্থা আবেদন করেছে। শিল্পমন্ত্রীর আশা, কয়েক বছরে রাজ্যের চর্মশিল্পের চেহারাটা দ্রুত বদলে গিয়ে ব্যবসা বাড়বে।