ধর্মঘটে বাস না চালানোয় পিটুনি, প্রতিবাদে বন্ধ বাস

বাম-বিজেপির ডাকা ধর্মঘটে বাস না চালানোয় রানিগঞ্জে দুই বাস কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে শুক্রবার বাস ধর্মঘট করলেন সেখানকার কর্মীরা। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও ভোগান্তিতে পড়লেন সাধারণ মানুষ। বাসকর্মীদের অভিযোগ, ধর্মঘটের দিন বাস চালানোর জন্য কয়েকজন তৃণমূল কর্মী জোর করতে থাকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানিগঞ্জ ও দাঁতন শেষ আপডেট: ০২ মে ২০১৫ ০১:৫১
Share:

বন্ধ মিনিবাস। রানিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে শুক্রবার তোলা নিজস্ব চিত্র।

বাম-বিজেপির ডাকা ধর্মঘটে বাস না চালানোয় রানিগঞ্জে দুই বাস কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে শুক্রবার বাস ধর্মঘট করলেন সেখানকার কর্মীরা। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও ভোগান্তিতে পড়লেন সাধারণ মানুষ।

Advertisement

বাসকর্মীদের অভিযোগ, ধর্মঘটের দিন বাস চালানোর জন্য কয়েকজন তৃণমূল কর্মী জোর করতে থাকে। রাজি না হওয়ায় তাঁদের মারধর করা হয়। বৃহস্পতিবার ওই ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন আইএনটিটিইউসি বাসকর্মী সংগঠনের নেতা নির্মল পাল ও হেনা খাতুন। কিন্তু মারধরের সময় তাঁরা বাধা দেননি। নির্মল ও হেনাকে আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত আসানসোল মোটর ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের রানিগঞ্জ শাখা কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার দাবি তোলে বাসকর্মীরা। সেই দাবিতেই এ দিন বাস ধর্মঘট শুরু হয়। বন্ধ হয়ে যায় রানিগঞ্জ থেকে জামুড়িয়া, আসানসোল, অন্ডাল, মেজিয়া-সহ বিভিন্ন রুটের বাস পরিষেবা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে নির্মল পাল ও হেনা খাতুনের পাল্টা দাবি, ‘‘দলেরই কয়েক জন আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে।’’ এ দিন মোটর ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজু অহলুওয়ালিয়া রানিগঞ্জে গিয়ে বাসকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘‘শনিবার আমরা ফের আলোচনায় বসব। তার আগে ধর্মঘট উঠে যাবে বলে আশা করছি।’’

অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার বাম-বিজেপির ডাকা ধর্মঘটে পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুর-খাকুরদা রুটে বাস ও ট্রেকারের দেখা মেলেনি। তাই ভোগান্তির অভিযোগে শুক্রবার সকালে প্রথমে দাঁতন-২ ব্লকের তুরকা ও পরে খণ্ডরুই বাস স্টপে মোহনপুর-মেদিনীপুর রুটের সমস্ত বাস এবং কয়েকটি ট্রেকার আটকে দেয় গ্রামবাসীদের একাংশ। অবরোধকারীরা এলাকায় তৃণমূল সমর্থক বলেই পরিচিত। আন্দোলনকারীদের দাবি, বন্‌ধের দিনে বাস না মেলায় দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়। এ ছাড়াও এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন একশো দিনের প্রকল্পের টাকা পাচ্ছেন না। তাই এ দিনের এই কর্মসূচি। যদিও এক বাস মালিক বিশ্বজিৎ পণ্ডা বলেন, “খণ্ডরুইয়ের কাছে তৃণমূলের লোকেরা সমস্ত বাস আটকে দিয়েছে। আমরা বন্‌ধের দিনেও বাস চালানোর পক্ষে ছিলাম। তবে মানুষ রাস্তায় না বেরনোয় আমাদের পক্ষে ফাঁকা বাস চালানো সম্ভব ছিল না।”

Advertisement

তৃণমূলের ব্লক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক বলেন, “স্থানীয় মানুষ একশো দিনের টাকা না পেয়ে বাস আটকেছে। তা ছাড়া বন্‌ধের দিনে বাস না চলায় মানুষের ক্ষোভও রয়েছে।” এই কর্মসূচিতে কি তৃণমূলের সমর্থন রয়েছে? তাঁর জবাব, “মানুষের ন্যায্য দাবিকে তো সমর্থন করতেই হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement