ভোটের বাকি ৫ দিন। আগামী ১২ মে তমলুক ও কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ। মঙ্গলবার থেকেই জেলায় ভোট কর্মীদের চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, পোস্টাল ব্যালটে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।
অন্য দিকে, আজ, বুধবার মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা বিধানসভা এলাকায় ভোটগ্রহণ। এ দিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হবে। এগরা বিধানসভা এলাকার ২ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৬২ জন ভোটারের জন্য মোট ৩০৪টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১১টি ভোট গ্রহণ কেন্দ্রকে সংবেদনশীল বুথ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুকেশকুমার জৈন বলেন, “মেদিনীপুর লোকসভার অন্তর্গত এগরা বিধানসভা এলাকায় ভোটগ্রহণের জন্য প্রতিটি বুথেই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব সংবেদনশীল বুথগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকছে। নিরাপত্তার জন্য ৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকছে। পাশাপাশি, রাজ্য পুলিশ বাহিনীর ৮৫০ জনকেও বুথগুলির নিরাপত্তার দায়িত্বেও রাখা হবে।” তিনি জানান, জেলার মোট ৪২৯৮টি বুথের মধ্যে প্রায় ১৮০০টি বুথকে সংবেদনশীল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠকে জেলাশাসক অন্তরা আচার্য বলেন, “জেলার একশো শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী অথবা মাইক্রো অবজার্ভার অথবা ভিডিও রেকডির্ংয়ের ব্যবস্থা রাখা হবে।”
জেলা নির্বাচন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ১৫ লক্ষ ২০ হাজার ৭৯১ জন। তমলুক লোকসভায় ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ১৮৫৫টি। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে এবার নির্বাচনে প্রার্থী সংখ্যা ১০ জন। অন্য দিকে, কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৮২ হাজার ৬০৬ জন। কাঁথি লোকসভায় ভোটগ্রগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ১৮৪৩টি। কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী সংখ্যা ৭ জন। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অধীন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভা এলাকায় ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ১২ মে। পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভা এলাকায় ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৩৫২ জন। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ২৯৬ জন। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে গত ২ মে জেলায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক সুধীরকুমার রাকেশ। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৮ মে জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে শুরু করবে। জেলার সংবেদনশীল এলাকা-সহ বিভিন্ন এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী রুট মার্চ করবে। জেলা নির্বাচন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটগ্রহণের জন্য জেলায় প্রায় ২০ হাজার ভোট কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।