জলকাদা ভেঙেই এগোনো। শ্যামল চক্রবর্তীর নেতৃত্বে সুনিয়ায় বাম প্রতিনিধিদলের ছবি তুলেছেন সোহম গুহ।
সুনিয়ায় ঘরছাড়া সিপিএম নেতার স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে পুলিশ-প্রশাসন ও তৃণমূল মিলেমিশে কাজ করছে বলে ফের অভিযোগ তুলল বাম প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার কাঁথি আদালতের নির্দেশে পুলিশ সুনিয়ার নিহত মহিলার ময়না তদন্তের রিপোর্ট-সহ কেস ডাইরি জমা দেয়। তাতে ওই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলেই দাবি করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও মহিলার শরীরে এমনকী গোপন অঙ্গে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রবল বৃষ্টির মধ্যে মঙ্গলবার দুপুরে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্যামল চক্রবর্তীর নেতৃত্বে আঠারো জনের একটি দল সুনিয়ায় যান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কেস-ডায়েরির প্রসঙ্গ তুলে পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে তৃণমূলের যোগসাজসের অভিযোগ করেন প্রবীন সিপিএম নেতা। শ্যামলবাবুর অভিযোগ, “পুলিশ ও প্রশাসন প্রথম থেকেই ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালাতে চাইছে।” সুনিয়া-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল কর্মাধ্যক্ষ দেবাশিস ভুঁইয়া এখনও অধরা। পুলিশের পক্ষপাতিত্বের ফলেই এমনটা হচ্ছে, বলছেন শ্যামলবাবু।
সুনিয়ায় আসার আগে তমলুকে জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে গিয়েও শ্যামলবাবু ও সিটুর রাজ্য সম্পাদক দীপক দাশগুপ্ত পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে সুনিয়ার ঘটনায় জড়িত সব অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানান সিটুর রাজ্য নেতৃত্ব।
এ দিকে, সারদা কাণ্ডে সিবিআইয়ের তদন্তের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন শ্যামলবাবু। এ দিন তিনি বলেন, “সারদা নিয়ে সিবিআই তদন্তে মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে পর্যন্ত প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। আরও অনেক মন্ত্রী, প্রশাসনের বড় কর্তাদের ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তদন্তের সুবিধার জন্য মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী, দু’জনেরই অবশ্যই পদত্যাগ করা উচিত।”