ছবির প্রদর্শনী। ছবি: সোহম গুহ।
টুকরো টুকরো রঙিন কাগজর কোলাজ। আর সেই কোলাজেই ফুটে উঠেছে রবি ঠাকুর ও তাঁর কবিতার নানা ভাবনা। কাঁথির তরুণ কোলাজ শিল্পী সিদ্ধার্থ পাত্রের এমনই ৩৯টি কোলাজ চিত্র নিয়ে কাঁথি রাও রিক্রিয়েশন ক্লাবে প্রদর্শনী ‘প্রাণের কবি’ অনুষ্ঠিত হল। ২২ শ্রাবণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিল্পী ও কবি কৃষ্ণজিত্ সেনগুপ্ত। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাঁথি রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী অক্ষতানন্দ ও কাঁথি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অরূপকুমার দাস। সোমবার সন্ধ্যায় চার দিন ব্যাপী এই প্রদর্শনীর সমাপ্তি হয়।
কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের চাঁপাতলা গ্রামে সিদ্ধার্থবাবুর আদি বাড়ি হলেও বতর্মানে তিনি কাঁথি শহরের বাসিন্দা। গত দু’বছরের পরিশ্রমে তিনি কোলাজ চিত্রগুলি ফুটিয়ে তুলেছেন। সেই চিত্রে কোথাও ফুটে উঠেছে আটপৌরে বাংলার ছবি, কোথাও আবার ছড়ি হাতে হেঁটে চলেছেন মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধী। কোলাজে ফুটে উঠেছে সেতার বাদনরত রবিশঙ্করের ছবিও। বছর কয়েক আগে পেটুয়াঘাট মত্স্যবন্দর শিলান্যাস অনুষ্ঠানে এসেছিলেন তত্কালীন রাজ্যের রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গাঁধী। রাজ্যপালের হাতে স্মারক হিসেবে সিদ্ধার্থবাবুর হাতে তৈরি মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর কোলাজ তুলে দেওয়া হয়েছি। সেই সময় শিল্পীর হাতের কাজের প্রশংসা করেছিলেন সকলে। সেই থেকে কোলাজের প্রতি আরও মোহ বাড়ে সিদ্ধার্থর। বাড়িতেই তৈরি করেছেন নিজস্ব একটি স্টুডিও। পেশায় জীবনবিমার এজেন্ট সিদ্ধার্থ কাজ সেরে বাড়ি ফিরেই বসে পড়েন কোলাজের কাজে। ইতিমধ্যেই কাঁথিতে ‘কন্টাই ফাইন আর্টস একাডেমি’ নামে একটি কোলাজ শিক্ষার স্কুলও তৈরি করেছেন তিনি। সিদ্ধার্থবাবুর কথায়, “বিশিষ্ট মণ্ডপ শিল্পী সুতনু মাইতি আমার মামা। উনিই আমার প্রেরণা। ছোট থেকে মাও ছবি আকাঁয় উত্সাহ দিতেন।”