বসন্ত উত্সব উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়েছে মেদিনীপুরে। আবির খেলায় মেতেছেন ছোট- বড় সকলেই। পাড়ায় পাড়ায় চলেছে রঙ খেলা। সঙ্গে হইহুল্লোড়।
মেদিনীপুর বসন্ত উত্সব কমিটির উদ্যোগে সকালে মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হলে এক অনুষ্ঠান হয়। এ বার ছিল ৩৩তম বর্ষ। নাচ- গানের সঙ্গে হয় কবিতা পাঠও। চলে আবির খেলা। উদ্যোক্তাদের পক্ষে অলোকবরণ মাইতি বলেন, “এই উত্সব সকলে। দেখতে দেখতে ৩৩ বছর হয়ে গেল। এখন এটা ভাবতেই কেমন লাগে। সকলে সহযোগিতা করেছেন। উত্সব সুষ্ঠু ভাবে হয়েছে। আশা করব, আগামী বছরও এই সহযোগিতা মিলবে।” তাঁর কথায়, “আমরা সকলকেই আমন্ত্রণ জানাই। এখানে আট থেকে আশি- সকলেই উত্সবের আনন্দে মাতেন। যে যাঁর মতো করে আনন্দ করেন। এ বারও প্রচুর মানুষ এসেছেন।” উত্সবে এসেছিলেন মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক অমিতাভ দত্ত, ডেপুটি পুলিশ সুপার (অপারেশন) সৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। এসেছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়, সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণা প্রমুখ। প্রবীণ সঙ্গীতশিল্পী অক্ষয়লাল করকে সংবর্ধিত করা হয়। দীনেনবাবু বলেন, “দোলের দিন সকালে বিদ্যাসাগর হলের মাঠে আবির খেলা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এখানে উপস্থিত থাকতে পারলে নিজেরই খুব ভাল লাগে। তাই এই দিনে মেদিনীপুরে থাকলে এখানে চলে আসি।” সন্তোষবাবু বলেন, “দোল উত্সব আমাদের সকলের প্রাণের উত্সব। প্রতি বছরই এই অনুষ্ঠানে আসি।” মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক অমিতাভবাবুর কথায়, “বসন্তোত্সবের আনন্দই আলাদা। উদ্যোক্তারা খুব সুন্দর আয়োজন করেন। কত মানুষ আসেন। তাঁদের সঙ্গে কথা হয়। এটাই ভাল লাগে।”
মেদিনীপুর ড্যান্সার্স ফোরামের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর কলেজ ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠান হয়। শরত্পল্লি নাগরিক সমিতির উদ্যোগেও বসন্ত উত্সবের আয়োজন করা হয়। ছিল সমবেত নৃত্য, সমবেত সঙ্গীত প্রভৃতি। উদ্যোক্তাদের পক্ষে স্থানীয় কাউন্সিলর তথা শহরের উপ-পুরপ্রধান জিতেন্দ্রনাথ দাস বলেন, “এই দিনটার জন্য আমরা সকলেই সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি। এলাকার সকলে মিলে আবির খেলেন। খুব আনন্দ হয়।”