বনভোজনে খুশি প্রতিবন্ধীরা

কেউ হাঁটতে পারে না। কেউ আবার কথা বলতে অপারগ। কারও বা সারাক্ষণ গাল দিয়ে লালা ঝরে পড়ে। কিন্তু তাঁদের জীবনেও তো একটু ঘুরে বেড়ানোর ইচ্ছে থাকে। এই সব প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের আনন্দ দিতে তাই বনভোজনের আয়োজন করল মেদিনীপুর টাউন হ্যান্ডিক্যাপড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:৪১
Share:

অরবিন্দ শিশু উদ্যানে। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।

কেউ হাঁটতে পারে না। কেউ আবার কথা বলতে অপারগ। কারও বা সারাক্ষণ গাল দিয়ে লালা ঝরে পড়ে। কিন্তু তাঁদের জীবনেও তো একটু ঘুরে বেড়ানোর ইচ্ছে থাকে। এই সব প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের আনন্দ দিতে তাই বনভোজনের আয়োজন করল মেদিনীপুর টাউন হ্যান্ডিক্যাপড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। রবিবার বনভোজন হয় মেদিনীপুর শহরের অরবিন্দ শিশু উদ্যানে। যেখানে সারক্ষণ হইহুল্লোড় করে কাটাল প্রতিবন্ধী অনসূয়া ঘোষ, সাগ্নিক মাইতি, দীপাঞ্জন মিদ্যারা। এই আনন্দ দিতে পেরে খুশি সংস্থার সম্পাদক অলোক ঘোষ। তাঁর কথায়, “ওদের আনন্দ দিতেই বনভোজনের আয়োজন।”

Advertisement

প্রতিবন্ধীদের এই ধরনের বনভোজনের কথা শুনে ছুটে গিয়েছিলেন মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান প্রণব বসুও। প্রতিবন্ধীদের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে ওঠেন কিছুক্ষণ। তাঁদের মিষ্টিমুখ করার জন্য মিষ্টিও দেন। এসেছিলেন প্রাক্তন রেল আধিকারিক শৈলেন্দ্রনাথ হালদার, আবগারি দফতরের আধিকারিক দীরেন্দ্রনাথ দলবেরা, শিক্ষাবিদ চপল ভট্টাচার্য-সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। সকাল থেকেই শিশু উদ্যানে ছিল খাবারের আয়োজন। প্রথমে টিফিন। তারপর ভাত, বাঁধাকপির তরকারি, মুরগীর মাংস, চাটনি, মিষ্টি। প্রতিবন্ধী সাগ্নিকের বাবা আশিস মাইতির কথায়, “মেদিনীপুর শহরে প্রতিবন্ধীদের পড়াশোনা করানোর, একটু আনন্দ দেওয়ার তেমন কোনও জায়গা নেই তো। এই সোসাইটি যেটুকু করে তা দিয়েই চলে।”

প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের বাবা-মা ও কয়েকজন শুভাকাঙ্ক্ষীর সাহায্যে এই সোসাইটি চলে। কিন্তু তাঁদেরও নির্দিষ্ট তেমন ঠিকানা নেই। একটি ছোট্ট ভবন তৈরি করলেও সেই জমির লিজের মেয়াদ ফুরিয়েছে। সব মিলিয়ে তাই আনন্দের মাঝেও দুশ্চিন্তার কথা মাঝে মধ্যেই বেরিয়ে আসছিল সোসাইটির সম্পাদক অলোকবাবুর মুখ থেকে। অলোকবাবুর কথায়, “বর্তমান সরকার ও প্রশাসনের কাছে পুণরায় জমি লিজের আবেদন জানিয়েছি। কিছু আর্থিক সাহায্যও চেয়েছি। আশা করি, ওঁরা প্রতিবন্ধীদের সাহায্যে নিশ্চয় এগিয়ে আসবেন।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement