বাস-লরি সংঘর্ষে মৃত কলেজ ছাত্রী, জখম ২৪

বাসের সঙ্গে লরির সংঘর্ষের ঘটনায় মৃত্যু হল এক কলেজ ছাত্রীর। শুক্রবার দুপুরে কেশপুর থানার বগছড়িতে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৪ ০৭:২২
Share:

দুর্ঘটনার পর। —নিজস্ব চিত্র।

বাসের সঙ্গে লরির সংঘর্ষের ঘটনায় মৃত্যু হল এক কলেজ ছাত্রীর। শুক্রবার দুপুরে কেশপুর থানার বগছড়িতে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃত ছাত্রীর নাম সুদীপা ঘোষ (১৯)। তাঁর বাড়ি বাড়ি কেশপুর থানার কেঁউস্যায়। ওই ঘটনায় জখম হয়েছেন অন্তত ২৪ জন। এঁদের মধ্যে ১৮ জনকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ বাস এবং লরি, দু’টিই আটক করেছে পুলিশ। অবশ্য চালক- খালাসি পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

সুদীপা মেদিনীপুর গোপ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। মেদিনীপুরের এক হস্টেলে থেকে তিনি পড়াশোনা করতেন। সুদীপা পরিবারের লোকজনকে শুক্রবার দুপুরের মধ্যেই বাড়ি ফেরার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু, তা আর হয়নি। বাসে করে বাড়ি ফেরার সময় মাঝপথেই পথ দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ বগছড়িতে মেদিনীপুর-সুপা রুটের ওই বাসের সঙ্গে মেদিনীপুরগামী একটি লরির সংঘর্ষ হয়। লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কেশপুরগামী বাসটিকে ধাক্কা মারে। বাসটিও নিয়ন্ত্রণ হারায়। লরির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান সুদীপা। তিনি বাসের মধ্যেই সিটে বসেছিলেন। জখম ১৮ জনকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়। জখমদের শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন। তিনি মেদিনীপুর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ তমালকান্তি ঘোষের সঙ্গেও কথা বলেন। হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় সব রকম পরিষেবাই মিলবে। অধ্যক্ষের নির্দেশে হাসপাতালের দুই সহকারি সুপার শ্যামল পট্টনায়েক এবং প্রণবেশ রায়ও দ্রুত জরুরি বিভাগে গিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্তদের শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন। তাঁদের পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলেন।

Advertisement

জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর অন্যতম মেদিনীপুর-কেশপুর রাজ্য সড়কটি। মেদিনীপুর থেকে কেশপুর, নাড়াজোল হয়ে এই সড়কের উপর দিয়ে ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, দাসপুর যাওয়া যায়। আবার নেড়াদেউল, চন্দ্রকোনা হয়ে একদিকে গড়বেতা, অন্য দিকে বর্ধমান, তারকেশ্বর যাওয়া যায়। আগে রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে ধুঁকছিল। তখন মাঝে-মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটত। স্থানীয় গ্রামবাসীদের বক্তব্য, রাস্তার উপর দিয়ে দ্রুত গতিতে গাড়ি চলাচল করে। কিছু বাস-লরি মাঝে-মধ্যে নিজেদের মধ্যে রেষারেষিও করে। ফলে, দুর্ঘটনাও ঘটে। কেশপুর থানার নেড়াদেউলের বাসিন্দা অতনু ত্রিপাঠি বলেন, “অনেক সময় রেষারেষির ফলেই দুর্ঘটনা ঘটে। দ্রুত গতিতে গাড়ি চলাচল এড়াতে পুলিশের নজরদারি আরও বাড়ানো উচিত।” বগছড়ির কাছে মেদিনীপুর-কেশপুর সড়কটি একটু বাঁক নিয়েছে। রাস্তার পাশে কিছু গাছ রয়েছে। এরফলেও, এই এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটছে বলে মত স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁদের দাবি, দুর্ঘটনা রুখতে অবিলম্বে প্রশাসন পদক্ষেপ করুক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement