তমলুকে জেলা প্রশাসনিক অফিসের সামনে চলছে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র
শাসকদল তৃণমূলের সন্ত্রাসের প্রতিবাদে রাজ্যের অন্য জেলাগুলির সঙ্গেই শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরে জেলাশাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ-সভা করল বিজেপি। বিক্ষোভ কর্মসূচি হল পশ্চিমেও। দলের রাজ্য সহ-সভাপতি প্রভাকর তিওয়ারি, জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেই বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন সদ্য সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য।
এ দিন বিকেলে তমলুকে জেলাশাসকের অফিসের সামনে ময়না, পাঁশকুড়া, চণ্ডীপুর, হলদিয়া, কাঁথি, এগরার বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক’শো বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা জড়ো হন। বিকেল ৪টা নাগাদ বৃষ্টি উপেক্ষা করেই জেলাশাসকের অফিসের সামনে তাঁরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগে ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। প্রায় আধ ঘণ্টা চলে বিক্ষোভ। বিজেপির জেলা নেতৃত্ব অভিযোগ করেনবিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, তৃণমূলের সন্ত্রাস বন্ধ ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারের অভিযোগ জানানো সত্বেও পুলিশ-প্রশাসন কোনও সদর্থক পদক্ষেপ করছে না।
এ দিন বিজেপি জেলা কমিটির নেতারা অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অভিজিৎ মৈত্রের কাছে স্মারকলিপি দেন। অভিযোগ করেন ৩০ মে ও ১৫ জুন রামনগর থানার তালগাছারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দলের কর্মী শ্যামাপদ মাইতির উপরে সশস্ত্র তৃণমূল কর্মী চড়াও হয়ে মারধর ও বাড়ি ভাঙচুর করে। অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও পুলিশ অভিযুক্তদের এখনও গ্রেফতার করেনি। উল্টে তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে শ্যামাপদবাবুর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। একই ভাবে গত ১৪ জুন পটাশপুরের পচেট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার টিলুরি গ্রামে ১০-১২ জন তৃণমূল কর্মী স্থানীয় বিজেপি কর্মী সন্তোষ যাদব, রাজকুমার যাদব, দেবকুমার যাদবকে মারধর, বাড়ি ভাঙচুর করে। এমনকী বিজেপি করলে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়। ওই ঘটনাতেও অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীরা এখনও গ্রেফতার হননি।
বিজেপির জেলা সম্পাদক সুকুমার দাসের অভিযোগ, “লোকসভা ভোটের পরে অন্য দল থেকে নেতা-কর্মীরা বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় দলের শক্তিবৃদ্ধি হয়েছে। তাই তৃণমূল দলের কর্মীদের নানা ভাবে সন্ত্রস্ত করতে চাইছে।”