ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়কের মোহনপুরের কাছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস। —নিজস্ব চিত্র।
মোটরবাইককে পাশ কাটাতে গিয়ে রাস্তার ধারে পুকুরে উল্টে গেল যাত্রীবাহী বাস। শুক্রবার দুপুরে ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়কে মোহনপুরের কাছে ওই দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম আরও ২০ জন। মৃতদের নাম কৌশিক রায় (১৮)। অপর মৃত ব্যাক্তির পরিচয় জায়া যায়নি। কৌশিকের বাড়ি আনন্দপুর থানার পাঁচখুরি গ্রামে। আহতদের ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল, ক্ষীরপাই ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ঘাটালের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ঘাটাল থানার পুলিশ। ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা দুপুর আড়াইটে থেকে ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়ক অবরোধ করে। বাসটিকে পুকুর থেকে তোলার পর এ দিন সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ অবরোধ ওঠে। দীর্ঘক্ষণ রাস্তাটি অবরোধ থাকায় যানজট তৈরি হয়। ভোগান্তির মধ্যে পড়েন অনেক মানুষ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুর দু’টো নাগাদ চন্দ্রকোনা রোডগামী বাসটি মোহনপুরের কাছে ঘাটালগামী মোটরবাইককে পাশ কাটাতে গিয়ে রাস্তার ধারে পুকুরে উল্টে যায়। এ দিন বাসে করে ঘাটালের সুলতানপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই কৌশিকের মৃত্যু হয়। অপর ব্যাক্তিও ঘটনাস্থলেই মারা যান। বাসটিতে প্রায় ৩৫ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। দুর্ঘটনার পর এক ঘণ্টা কেটে গেলেও বাসটি পুকুর থেকে তোলার জন্য ক্রেন না আসায় স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এ দিন বিকেল চারটে নাগাদ চন্দ্রকোনা রোড থেকে ক্রেন আসে। পরে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বাসটি পুকুর থেকে তোলার পর অবরোধ উঠে যায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসটির মধ্যে কোন যাত্রী আটকে ছিলেন না। তবে পুকুরের জলের তলায় কারোর দেহ ডুবে রয়েছে কিনা, তা দেখতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বাসটির চালকের হদিশ পাওয়া যায়নি।