নতুন দলে মিশে যাচ্ছে লক্ষ্মণ শেঠের মঞ্চ

এক সময়ের প্রভাবশালী, অধুনা বহিষ্কৃত সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠ প্রতিষ্ঠিত ভারত নির্মাণ মঞ্চের নেতাকর্মীরা এ বার ‘ন্যাশনাল কনফেডারেসি অব ইন্ডিয়া (এনসিআই) নামে একটি জাতীয় দলে যোগ দিতে চলেছেন। লক্ষ্মণবাবু বুধবার এ কথা জানিয়ে বলেন, “মঞ্চ এনসিআই-এর গণ সংগঠন হিসাবে কাজ করবে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৪ ০১:২৩
Share:

এক সময়ের প্রভাবশালী, অধুনা বহিষ্কৃত সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠ প্রতিষ্ঠিত ভারত নির্মাণ মঞ্চের নেতাকর্মীরা এ বার ‘ন্যাশনাল কনফেডারেসি অব ইন্ডিয়া (এনসিআই) নামে একটি জাতীয় দলে যোগ দিতে চলেছেন। লক্ষ্মণবাবু বুধবার এ কথা জানিয়ে বলেন, “মঞ্চ এনসিআই-এর গণ সংগঠন হিসাবে কাজ করবে।”

Advertisement

আগামী ২৩ নভেম্বর কলকাতায় গোখেল মেমোরিয়াল গার্লস হাইস্কুলের অডিটোরিয়ামে একটি কনভেনশনের মাধ্যমে সংগঠনের নেতারা নতুন দলে যোগ দেবেন। এ খবর জানিয়ে লক্ষ্মণবাবু দাবি করেন, “এ বছরই এনসিআইকে সর্ব ভারতীয় দল হিসাবে রেজিস্ট্রেশন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ২৩ নভেম্বর কনভেনশনের মাধ্যমে প্রাদেশিক কমিটি গড়া হবে। সেখানে এনসিআই-এর সর্ব ভারতীয় নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবে। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫০০ প্রতিনিধি ওই কনভেনশনে যোগ দেবেন।”

কয়েক মাস আগে লক্ষ্মণবাবু সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটি থেকে শুরু করে জোনাল কমিটি, লোকাল কমিটি স্তর পর্যন্ত অনেক নেতা কর্মীকে নিয়ে দল ছেড়ে ভারত নির্মাণ মঞ্চ গঠন করেন। সে সময়ে দলের মধ্যে ‘গণতন্ত্র নেই’-সহ একাধিক বিষয়ে তোপ দেগে মঞ্চের পক্ষ থেকে লিফলেট দিয়ে লক্ষ্মণবাবুরা জানিয়েছিলেন সিপিএম ছাড়ার কারণ। তখনই জেলায় গুঞ্জন উঠেছিল মঞ্চের নেতারা হয়ত অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে অন্য কোনও জাতীয় দলের সঙ্গে বোঝাপড়ার রাস্তায় যেতে পারে। শেষমেশ একটি জাতীয়তাবাদী দলে যোগ দেওয়ার ঘোষণায় সেই জল্পনার অবসান হল।

Advertisement

কিন্তু, জেলা ছেড়ে কলকাতায় কনভেনশন কেন? লক্ষ্মণবাবুর জবাব, “প্রাদেশিক কনভেনশন হওয়ার জন্য কলকাতায় করা হচ্ছে।” নতুন দলে কেন? লক্ষ্মণবাবুর ব্যাখ্যা, “আমাদের চিন্তাধারা, মতামতের সঙ্গে এনসিআই-এর চিন্তাধারা, মতামত মিলেছে। তাই এই সিদ্ধান্ত।” তবে কেউ কেউ বলছেন আদালতের শর্তসাপেক্ষে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলেই জেলায় নয়, কলকাতায় কনভেনশন করতে হচ্ছে লক্ষ্মণবাবুকে। তবে একটি সূত্রের দাবি, জেলায় লক্ষ্মণবাবুর ঢোকা নিয়ে আর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই।”

সিপিএম ছাড়ার সময়ে মঞ্চের তরফে চার পাতার লিফলেটে সিপিএমের কঠোর সমালোচনা করা হয়েছিল। একই রকম ভাবে বুধবার থেকে মঞ্চের তরফে পুস্তিকা বিলি শুরু হয়েছে। ‘কেন সিপিএম ছাড়তে বাধ্য হলাম এবং আমাদের ভবিষ্যত কর্মসূচি’ নামে ৪৮ পাতার ওই পুস্তিকায় সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সূর্যকান্ত মিশ্র, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদক দীপক সরকারের কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে। নন্দীগ্রাম-কাণ্ডের জন্য তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক ব্যর্থতাই দায়ি, মত মঞ্চের। তেমনি হলদিয়াকে শিল্পনগরী হিসাবে তুলে ধরতে লক্ষ্মণ শেঠের অবদান তুলে ধরা হয়েছে। সিপিএমের ভারপ্রাপ্ত জেলা সম্পাদক প্রশান্ত প্রধান বলছেন, “লক্ষ্মণবাবুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি কী করবেন তা তাঁর নিজস্ব ব্যাপার।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement