ধান কাটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূল-বিজেপি

খাস জমির ধান কাটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল বিজেপি-তৃণমূল। বৃহস্পতিবার দুপুরে খড়্গপুর-২ ব্লকের পলশা গ্রাম পঞ্চায়েতের জামিরা গ্রামের ওই ঘটনায় তৃণমূলের আট জন কর্মী-সমর্থক জখম হন বলে অভিযোগ। সংঘর্ষে বিজেপিরও পাঁচ জন জখম হন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৪ ০১:১৭
Share:

খাস জমির ধান কাটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল বিজেপি-তৃণমূল। বৃহস্পতিবার দুপুরে খড়্গপুর-২ ব্লকের পলশা গ্রাম পঞ্চায়েতের জামিরা গ্রামের ওই ঘটনায় তৃণমূলের আট জন কর্মী-সমর্থক জখম হন বলে অভিযোগ। সংঘর্ষে বিজেপিরও পাঁচ জন জখম হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থে পৌঁছয় পুলিশ। এ দিন সন্ধ্যায় তৃণমূলের তপন পাত্র, জয়ন্তী হেমব্রম, সুজাতা ভুঁইয়া-সহ আট জনকে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

Advertisement

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাম জমানায় ওই এলাকায় বিভূতি মহাপাত্রের ঊর্ধসীমার অতিরিক্ত জমি খাস হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। আগে থেকেই ওই খাস জমিতে কিছু সিপিএম পরিবার চাঢ় করে আসছিল। রাজ্যে পালাবদলের পর তৃণমূলের কয়েকজনও ওই জমিতে চাষ শুরু করে। গত লোকসভা নির্বাচনের পরে এলাকার অনেক সিপিএম কর্মী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তবে তাঁরা এখনও ওই জমিতে চাষ করে আসছিল। এ দিন বিজেপির লোকেরা জমি থেকে ধান কাটতে এলে তৃণমূলের লোকেদের সঙ্গে তাঁদের বচসা বাধে। পরে দু’পক্ষই চাষের ধান নিজের বলে দাবি করলে তাঁদের পরে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে যা সংঘর্ষের রূপ নেয়। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি সমর্থকদের হাতে তৃণমূলের আট জন প্রহৃত হন। জখম তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিজেপি থানায় ঘটনার অভিযোগ জানাতে আসার পথে বাড়গোকুলপুরে তৃণমূল পাল্টা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় বিজেপির পাঁচ জন কর্মী-সমর্থক আহত হন। এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও পক্ষই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা ওই ব্লকের নেতা অজিত মাইতি বলেন, “অনেক বছর ধরে আমাদের কিছু আদিবাসী পরিবার ওই জমিতে চাষ করছে। কিন্তু সিপিএম থেকে বিজেপিতে আসা কর্মীরা এখন সেই জমির দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে। সেই চেষ্টা সফল করতেই আমাদের কর্মীদের ওপর অতর্কিতে হামলা করেছে বিজেপি।” কিন্তু বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরাও কেন জখম হল? অজিতবাবুর জবাব, “আমাদের কর্মীদের মারধরের পরে বিজেপির কয়েকজন নাটক করে জামায় আলতা মেখে পুলিশের কাছে আসছিল। পথে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা তাঁদের পথ আটকেছিল বলে শুনেছি।” যদিও তৃণমূলের ওপর হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে মণ্ডল বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা অভিযোগ করেন, “জমিতে ধান কাটার সময় তৃণমূলের লোকেরা দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উপর নির্বিচারে হামলা চালায়। তাতে আমাদের কেউ কেউ প্রতিরোধের চেষ্টা করে। তারপরে আমাদের কর্মীরা থানায় আসার পথে ফের আক্রান্ত হয়।” পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। এ দিন তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি দীনেন রায়-সহ প্রতিনিধি দল খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে দলের আহত কর্মী-সমর্থকদের দেখতে যান।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement