ঘাটালে ভোট প্রচারে সন্তোষ রাণা। নিজস্ব চিত্র।
ভোট বড় বালাই। তাই ছুটির দিনেও এতটুকু ফুরসত নেই সন্তোষবাবুর। রবিবার সকাল থেকে গোটা ঘাটাল চষে বেড়ালেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী সন্তোষ রাণা। রবিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় মিছিল। পরে ঘাটালের বরদা চৌকান, ব্যাঙডাল, মারিচ্যা, খড়ার, বলরামপুর, কুঠিঘাট সহ ঘাটাল বিধানসভা এলাকার প্রায় বেশিরভাগ এলাকায় প্রচার চালান এই বাম প্রার্থী। সঙ্গে ছিলেন ঘাটালের সিপিএম নেতা অশোক সাঁতরাও। প্রচার সারতে সারতেই সন্তোষবাবু বলেন, “নীতির কথা চিন্তা করেই ভোট দেওয়ার আবদেন জানানো হচ্ছে। এখন যা পরিস্থিতি তাতে বামফ্রন্টই নির্ভরযোগ্য দল।” বামেদের অভিযোগ, ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। এমনকী দলীয় কর্মীদের মারধর, সন্ত্রাসও চালানো হচ্ছে। কেশপুর, ঘাটাল, দাসপুর, পিংলা-সর্বত্রই এক ছবি। সন্তোষবাবুর অভিযোগ, “কেশপুরের মহিষদা গ্রামে ক’দিন আগেই প্রচার করার পর রাতে তৃণমূলের লোকজন বোমাবাজি করে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে।” রবিবার সকাল থেকে প্রচার সেরে দুপুরে ঘাটালের সিপিএম কাযার্লয়ে একটি বিশ্রাম নেন তিনি। পরে একটি সাংবাদিক বৈঠকে সন্তোষবাবু জানান, ভোটে জয়ী হলে ঘাটালে রেল যোগাযোগ, মাস্টার প্ল্যান-সহ এলাকার নানা সমস্যার কথা সংসদে তিনি তুলে ধরবেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, “তৃণমূলের সব স্টার প্রার্থী হয়েছেন। রাজনীতির লোক খুবই কম। রাজনীতির চর্চা না থাকলে সংসদে লড়াই করা কঠিন।” দেবের প্রসঙ্গে সন্তোষবাবুর বক্তব্য, “তৃণমূলে দেব আমাদের জেলার ছেলে। ওঁর ব্যবহার খুবই ভাল।”
সন্তোষবাবুর প্রচারের দিনই চন্দ্রকোনা রোডে সিপিএমের মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী পুলিনবিহারী বাস্কের সমর্থনে সিপিএমের জোনাল অফিস থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিল করে বামেরা। ছিলেন স্থানীয় সিপিএম নেতা অরবিন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়, সনাতন মাঝি, অভিরাম মাহাতো প্রমুখ। অভিযোগ, মিছিল শেষ হওয়ার মুহূর্তে তৃণমূল সমর্থকরা ডাবচা এলাকায় সিপিএম সমর্থকদের মারধর করে। এরপর সিপিএম সমর্থকরাও চড়াও হয় তৃণমূল সমর্থকদের উপর। ঘটনায় জখম চারজন দ্বারিগেড়িয়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি রয়েছেন। সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকার বলেন, “পুলিশের সামনেই তৃণমূল আমাদের কর্মীদের মারধর করে। বিষয়টি কমিশনে জানাব।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “এ দিন সিপিএম মিছিলের শেষে আমাদের কর্মীদের মারধর করে। প্রচারের জন্য সিপিএম মিথ্যা আভিযোগ করছে।” পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় দুপক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। আটক করা হয়েছে তিনজনকে।