দুর্ঘটনায় আহতেরা। —নিজস্ব চিত্র।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত একটি গাড়ি থেকে আহতদের উদ্ধারের সময়ে ভিড়ের মাঝে অন্য একটি লরি এসে ধাক্কা মারায় মৃত্যু হল দু’জনের। গুরুতর আহত হয়েছেন ৫ জন। মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তমলুকের নিমতৌড়ি পান বাজারের কাছে হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে। আহতদের তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
দুর্ঘটনায় মৃতদের নাম রবীন্দ্রনাথ দলপতি (৪৫) ও মোমিন গনি (৩০)। রবীন্দ্রনাথবাবুর বাড়ি চণ্ডীপুর থানার বোরোজ গ্রামে। তিনি গাড়ির খালাসি। মোমিনের বাড়ি নদিয়ায়। তিনি তমলুকের নিমতৌড়িতে পান বাজারে কাজ করতেন। জেলা পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন বলেন, “দুর্ঘটনাগ্রস্ত একটি গাড়ির পিছনে আরেক’টি লরি ধাক্কা মারায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। পাঁচজন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার কারণ জানতে ও লরির চালককে ধরতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।”
৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেই রয়েছে নিমতৌড়ি পানবাজার। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ ওই পানবাজারের কাছে রাস্তার একধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরিকে হলদিয়ার দিক থেকে আসা একটি পিক-আপ ভ্যান ধাক্কা মারে। এতে পিক-আপ ভ্যানের চালক-খালাসি গাড়ির ভিতরে আটকে যান। অবস্থা দেখে পানবাজারে কর্মরত বেশ কিছু লোকজন ছুটে এসে ওই চালক-খালাসিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালান। ওই উদ্ধার কাজের সময়ে আচমকা হলদিয়ার দিক থেকে আরেক’টি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত পিক-আপ ভ্যানটিকে ধাক্কা মারে। এতে উদ্ধারকারীদের একজন লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত হন আরও ৬ জন। তাঁদের তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই রবীন্দ্রনাথবাবুকে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান।
একই জয়াগায় পরপর দু’টি দুর্ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। তমলুক থানার পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান হলদিয়ার দিক থেকে আসা লরির চালক নিয়ন্ত্রণ হারানোর ফলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।