জঙ্গলমহলে বিকল্প রুজি বাড়াতে হবে, মত মন্ত্রীর

মানুষের হাতে কাজ থাকলে তখন কেউ তাঁদের ভুলপথে নিয়ে যেতে পারবে না, হাতে বন্দুক তুলে দিতেও পারবে না। মানুষকে কাজ দিতে তাই জঙ্গলমহলকে ফসল, ফুল, ফলের জঙ্গলে পরিণত করার জন্য দলের জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগী হতে বললেন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যান পালন দফতরের মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৪ ০০:৩০
Share:

ঝাড়গ্রামে আলোচনাসভায় মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। ছবি: দেবরাজ ঘোষ।

মানুষের হাতে কাজ থাকলে তখন কেউ তাঁদের ভুলপথে নিয়ে যেতে পারবে না, হাতে বন্দুক তুলে দিতেও পারবে না। মানুষকে কাজ দিতে তাই জঙ্গলমহলকে ফসল, ফুল, ফলের জঙ্গলে পরিণত করার জন্য দলের জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগী হতে বললেন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যান পালন দফতরের মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী।

Advertisement

শুক্রবার ঝাড়গ্রামে উদ্যান পালন সংক্রান্ত এক আলোচনাসভায় যোগ দিতে এসেছিলেন মন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, “আগের সরকারের আমলে এই এলাকায় অনাহার ছিল, অশান্তি ছিল। এখন সুদিন এসেছে। কেন্দ্র বা রাজ্য কোনও সরকারের পক্ষেই সবার চাকরির বন্দোবস্ত করা সম্ভব নয়। তবে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সুযোগও রয়েছে।” মন্ত্রী জানান, তাঁর দফতরের মাধ্যমে জঙ্গলমহলে বিকল্প রুজির জন্য নানা ধরনের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ওই সব প্রকল্পের মাধ্যমে এলাকাবাসীকে সাবলম্বী করার নানা সুযোগ রয়েছে।

এ দিন জাতীয় উদ্যান পালন মিশনের আওতায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা উদ্যান পালন দফতরের উদ্যোগে ঝাড়গ্রামের অরণ্যসুন্দরী মহাসঙ্ঘের সভাঘরে ওই আলোচনাসভার মূল বক্তা ছিলেন কৃষ্ণেন্দুবাবু। দলের জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, “সুচিত্রা-জাগরীরা আত্মসমর্পণ করে মূলস্রোতে ফিরেছেন। লড়াই-হাতিয়ারের দিন অতীত। জঙ্গলমহলকে নতুন করে তৈরি করতে হবে।”

Advertisement

জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ শ্রোতা-জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন, “উদ্যানপালনের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতির ভিত আরও পোক্ত করা সম্ভব।” নির্মলবাবু জানান, জাতীয় উদ্যান পালন মিশনের আওতায় উদ্যানপালন দফতরের মাধ্যমে ২০১৪-১৫ অর্থ বর্ষে প্রতিটি ব্লকে কেঁচোসার উৎপাদন প্রকল্প, জলসম্পদ নির্মাণ, নতুন বাগান, পুরনো বাগানের সংস্কার, হাই টেক নার্সারির মতো নানা ক্ষেত্রে অনুদান ভিত্তিক প্রকল্পের কাজ হবে। বিজ্ঞানভিত্তিক চাষের জন্য উপভোক্তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।”

রাজ্য উদ্যান পালন দফতরের অধিকর্তা পীযূষকান্তি প্রামাণিক বলেন, “কারা উপভোক্তা হবেন, কারা অনুদান পাবেন তা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাই ঠিক করে দেন। সুতরাং উপভোক্তা বাছাইয়ের প্রক্রিয়াটি নিরন্তর চালিয়ে গেলে মরশুমে উদ্যানজাত ফসলের চাষাবাদ আরও বাড়বে।” এ দিন বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন বিজ্ঞানী-গবেষক স্লাইড সহযোগে উদ্যানজাত ফসল ও বিকল্প চাষ নিয়ে আলোচনা করেন। ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা, জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ, রাজ্য উদ্যানপালন ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান দীনেন রায় প্রমুখ। এ দিন লালগড়ের রামগড় অঞ্চলের অড়মা গ্রামে কেঁচো সার প্রকল্পটি পরিদর্শন করেন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুবাবু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement