দু’টি জেনারেটর কিনে পুরবাসীর জন্য নিয়মিত পর্যাপ্ত পানীয় জল সরবরাহ করতে উদ্যোগী হল তৃণমূল পরিচালিত ঘাটাল পুরসভা। এত দিন পুরসভার পাম্প হাউসগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ চলে গেলেই পানীয় জলের পরিষেবা ব্যাহত হত। দুর্ভোগে পড়তেন শহরবাসী। অবস্থা দেখে উদ্যোগী হন পুর-কর্তৃপক্ষ। সমস্যার সমাধানে পুরসভার তরফে বিষয়টি জানানো হয় ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলইকে। এরপরেই বিধায়ক তহবিলের টাকায় ওই দুটি জেনারেটর কেনা হয়। পুরসভা সূত্রে খবর, সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা দিয়ে চলতি মাস থেকেই ভ্রাম্যমান পদ্ধতিতে নতুন বিকল্প পরিষেবা কার্যকর করা হবে।
পুরসভা সূত্রে খবর, এখন ঘাটাল শহরের ১৭টি ওয়ার্ডে ১৯টি পাম্প হাউস এবং দু’টি ওভারহেড রিজার্ভার, ৮০ কিলোমিটার পাইপলাইন এবং শ’তিনেক ট্যাপ রয়েছে। প্রায় পাঁচ হাজার বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগও রয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, আরও তিনটি রিজার্ভার তৈরি হচ্ছে। আগে শহরে পাম্প হাউসের সংখ্যা কম ছিল। এমনকী, সব ওয়ার্ডে পানীয় জলের সংযোগও ছিল না।
বছর তিনেক ধরে লাগাতার বাসিন্দাদের আবেদন-বিক্ষোভের ফলে প্রায় গোটা পুরসভা এলাকাতেই এখন পানীয় জলের সংযোগ তৈরি হয়েছে। এখন দিনে তিনবার জল দেওয়া হয়। ঘাটাল পুরসভা সূত্রে খবর, এতে পানীয় জলের সমস্যা পুরোপুরি না-মিটলেও কোনও ক্রমে তা চলছিল।
কিন্তু সমস্যা বাড়ত বিদ্যুৎ চলে গেলে। তবে দু’টি জেনারেটর কেনায় আপাতত তা কিছুটা হলেও মিটবে বলে দাবি পুর কর্তৃপক্ষের। ঘাটাল পুরসভা সূত্রের খবর, নতুন দু’টি জেনারেটরই হবে ভ্রাম্যমান। এর জন্য নতুন দু’টি গাড়িও কিনেছে ঘাটাল পুরসভা। বিদ্যুৎ চলে গেলেই গাড়ি নিয়ে জেনারেটর দু’টি একে একে পাম্প হাউসগুলিতে পৌঁছে যাবে। এই পরিষেবা চালুর জন্য একাধিক কর্মীও নিয়োগ করতে চলছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান বিভাস ঘোষ জানান, শহরের পানীয় জলের সঙ্কট স্থানীয় বিধায়ককে জানানো হয়েছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, তারপরেই বিধায়ক শঙ্কর দোলই তাঁর উন্নয়ন তহবিলের কোটা থেকে পুরসভার জল-সমস্যা সমাধানে ২১ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেন। ঘাটাল পুরসভার উপ-পুরপ্রধান উদয়শঙ্কর সিংহরায় বলেন, “পুরসভার তহবিল থেকে আরও একটি জেনারেট ও গাড়ি কেনার প্রস্তুতি চলছে। তা বাস্তবায়িত হলে পুরসভায় আর পানীয় জলের সমস্যা থাকবে না।”