অচেনা ফোন কলে সর্বস্বান্ত ঝাড়গ্রামের দিনমজুর যুবক

অচেনা নম্বর থেকে আসা একটি ফোন কল ধরে সর্বস্বান্ত হলেন পেশায় দিনমজুর এক যুবক। সোমবার সকালে ঝাড়গ্রামের চুবকা অঞ্চলের মুজরাপাল গ্রামের ঘটনা। অচেনা ব্যক্তিটির সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথোপকথনের সময় সাগর মহন্ত নামে ওই যুবকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:২৬
Share:

অচেনা নম্বর থেকে আসা একটি ফোন কল ধরে সর্বস্বান্ত হলেন পেশায় দিনমজুর এক যুবক। সোমবার সকালে ঝাড়গ্রামের চুবকা অঞ্চলের মুজরাপাল গ্রামের ঘটনা।

Advertisement

অচেনা ব্যক্তিটির সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথোপকথনের সময় সাগর মহন্ত নামে ওই যুবকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের স্থানীয় খালশিউলি শাখায় সেভিংস্ অ্যাকাউন্ট রয়েছে সাগরের। ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল দশটা থেকে সাড়ে দশটার মধ্যে অন লাইনে পর পর আট বার ওই অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ষোল হাজার ছ’শো কুড়ি টাকায় বিভিন্ন মোবাইল ফোনের টক টাইম কেনা হয়েছে এবং নানা কেনাকাটার বিল মেটানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অবশ্য সাগরের নির্বুদ্ধিতাকেই দায়ী করেছেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। পেশায় দিনমজুর সাগর বেশি দূর লেখাপড়া করেন নি। দিনমজুরির কাজ করে তিলে তিলে ব্যাঙ্কে সতেরো হাজার টাকা জমিয়ে ছিলেন তিনি।

এ দিন সকালে সাগরের মোবাইল ফোনে অচেনা একটি নম্বর (৭৭৬৫৮৯৮৫৬৬) থেকে কল করে এক ব্যক্তি নিজেকে ব্যাঙ্ক কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন। ওই ব্যক্তি সাগরকে জানান, কারিগরি সুরক্ষার জন্য সাগরের এটিএম ডেবিট কার্ডের নম্বর পাল্টে দেওয়া হয়েছে। সাগরের কাছে অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নানা তথ্য জানতে চান ওই ব্যক্তি। সাগর বলেন, “ওই ব্যক্তিকে ব্যাঙ্ক কর্মী ভেবে আমি কার্ডের নম্বর ও অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্যগুলি বলে দিই। এরপরে ওই ব্যক্তি আমার সঙ্গে কথা বলার সময় পর পর কয়েক বার মেসেজ আসে মোবাইল ফোনে। ওই ব্যক্তি আমাকে কল কাটতে বারণ করেন। কথা শেষ হওয়ার পরে দেখি আট বার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা হয়েছে বলে মেসেজ এসেছে।” এরপর ব্যাঙ্কে ছুটে যান সাগর। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তখন কিছুই করার ছিল না। সাগরের এটিএম কার্ডটি লক করে দেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

ব্যাঙ্কের ম্যানেজার পার্থ অধিকারী বলেন, “এ ধরনের সাইবার ক্রাইম ঠেকাতে আমরা সব সময়ই গ্রাহকদের সতর্ক করে থাকি। কখনওই নিজের এটিএম কার্ডের নম্বর ও পাসওয়ার্ড কাউকে জানানো উচিত নয়। তারপরও যদি কেউ এমন বোকামি করেন সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক-কর্তৃপক্ষ কী করবে! ওই গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে এ দিন অন লাইনে আট বার ট্র্যানজাকশন করে মোট ষোলো হাজার ছ’শো কুড়ি টাকা খরচ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মানুষের সচেতন হওয়া উচিত ।”

যে নম্বর থেকে সাগরের কাছে ফোন এসেছিল, সেটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বিষয়টি সাইবার ক্রাইম হওয়ায় সাগরের অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠানো হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement