প্রতীকী ছবি।
এক যুবতীকে ছুরি মেরে পালিয়ে গেল এক যুবক। অভিযুক্ত যুবকের নাম বুদ্ধেশ্বর মণ্ডল। শালবনির পারুলিয়ার ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার। শুক্রবার পর্যন্ত যুবকটির খোঁজ মেলেনি।
জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “শালবনিতে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। ওই যুবকের খোঁজ চলছে।” ঘটনাটি ঠিক কী? স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, পারুলিয়ার এক যুবতীকে অনেক দিন ধরেই উত্যক্ত করত বুদ্ধেশ্বর। যুবতীটি বিবাহিত। তাঁর সন্তানও রয়েছে। তবে ওই যুবতী শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে থাকেন। পারুলিয়ায় তাঁর বাপের বাড়ি। বুদ্ধেশ্বরও পারুলিয়ার বাসিন্দা। যুবতীর বাড়ির কিছু দূরেই তার বাড়ি। এক প্রতিবেশী মানছেন, “ওই যুবতী বছর পাঁচেক ধরে বাপের বাড়িতে থাকেন। স্বামী অত্যাচার করত। তাই ও শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে এখানে চলে আসে।” অভিযোগ, বুদ্ধেশ্বর ওই যুবতীকে উত্ত্যক্ত করার পাশাপাশি কুপ্রস্তাবও দিত। যুবতী অবশ্য সেই প্রস্তাবে সাড়া দিতেন না।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শৌচকর্ম করতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ওই যুবতী। সেই সময়ে বুদ্ধেশ্বর তাঁর উপর হামলা করে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, সে ছুরি দিয়ে ওই যুবতীর গলায় আঘাত করার চেষ্টা করে। বাধা দেন যুবতী। ছুরি এসে লাগে তাঁর ঘাড়ের কাছে। রক্ত বেরোতে শুরু করে। পরিজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল, পরে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি করেন। সে এখন মেডিক্যালেই চিকিৎসাধীন। পরিজনেদের দাবি, পরিকল্পনামাফিক এই হামলা চালানো হয়েছে। ওই যুবতীকে ধর্ষণেরই চেষ্টা করেছিল ওই যুবক। যুবতীর সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, যুবতীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।